করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বলে দাবি করে মানুষকে গোমূত্র খাওয়ানোয় কলকাতায় গ্রেফতার হলেন এক বিজেপি নেতা। নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় নামে ওই বিজেপি নেতাকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সোমবার কলকাতার জোড়াবাগানে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বলে দাবি করে সাধারণ মানুষকে গোমূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী চরণামৃত মনে করে সেই গোমূত্র খেয়ে নেন কলকাতা পুলিশের এক হোমগার্ডও।সোমবার জোড়াবাগানে ওই অনুষ্ঠানে প্রথমে গোপূজা হয়। তার পর গোমূত্র খাওয়ানো হয় উপস্থিত জনতাকে। অনেকেই চরণামৃত ভেবে সেই গোমূত্র খেয়ে নেন। তার মধ্যে ছিলেন কলকাতা পুলিশের হোমগার্ড পিন্টু প্রামাণিক। তিনি বলেন, চরণামৃত বলে একটা ঘটি থেকে আমার হাতে কিছু একটা ঢেলে দেন ওই বিজেপি নেতা। আমি মুখে দিয়ে বুঝতে পারি তা গোমূত্র। সঙ্গে সঙ্গে মুখ থেকে তা ফেলে দিই।এর পরই জোড়াবাগান থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো ও ম্যাজিক্যাল রেমেডি আইনে মামলা করা হয়। তদন্তে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন গোমূত্র খাইয়েছিলেন নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় নামে এক বিজেপি নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা।করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বলে দাবি করে গোমূত্র বিক্রি করায় সোমবার হুগলির ডানকুনিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শেখ মাবুদ আলি নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টায় মামলা রুজু হয়েছে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তিনি স্বেচ্ছায় গোমূত্র বিক্রি করেননি। তাঁকে দিয়ে কিছু লোক ওই কাজ করিয়েছিল।