একুশের নির্বাচনের পর বিজেপি কামিনী কাঞ্চনে আসক্ত হয়ে পড়েছে বলে খোঁচা দিয়ে ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। দলের মধ্যে কয়েকজন নেতার জন্যই বিজেপির এমন পরাজয় বলে দুষে ছিলেন মেঘালয়–ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু ক🐼রে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সকলকেই তুলোধনা করেছেন। সুকান্ত মজুমদার নেতা হলেও অভিজ্ঞতা কম বলে মনে করেন একদা রাজ্য বিজেপির সভাপতি। এবার ফেসবুকে করলেন নতুন একটি পোস্ট। যা বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে মুষলপর্ব লাগিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। যেখানে তথাগত রায় সরাসরি বার্তা দিয়ে🐻ছেন, রাজ্য সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার বা দিলীপ ঘোষকে নয়, যোগ্যতম শুভেন্দু অধিকারীই। আর তা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও বঙ্গ–বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের অবদান অস্বীকার কেউ করেন না।
আজ, বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তথাগত রায়। আর খুব সুচারুভাবে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেন। যিনি একদা বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের পচা জিনিস বিজেপি কাজে লাগিয়েছে। আর তার জেরেই এমন ফলাফল হয়েছে। সেই পচা জিনিসের তালিকায় তখন শুভেন্দু অধিকারীও ছিলেন। এখন সামনেই ৬টি উপনির্বাচন হওয়া কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ হবে। মাঝে আর একদিন বাকি। ঠিক তার আগে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ নিয়ে তথাগত রায়ের ব্যাট করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলায় সংগঠন তলানিতে, সব ক্ষেত্রেই উঠে এসেছে ব্যর্থতা, রাজ্য নেতৃত্বে রদবদল করেও ফলাফল একই এবং এখন এক কোটি সদস্য সংখ্যা পূরণ থেকে বহু দূরে রয়েছে বঙ্গ–বিজেপি। তারপরও ♊কোন অঙ্কে শুভেন্দু যোগ্যতম? উঠছে প্রশ্ন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এগিয়ে রাখা নিয়ে বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়েছেন তথাগত রায়। ফেসবুক পোস্টা তা তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রথম, শুভেন্দু স্বয়ং মমতাকে হারিয়েছেন। ফলে মমতা কম্পার্টমেন্টাল পরীক্ষা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে বাধ্য হয়েছেন। দ্ব🍸িতীয়, শুভেন্দুর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সুকান্ত এবং দিলীপের চাইতে অনেক দীর্ঘ। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলন দিয়ে তাঁর হাতেখড়ি। তৃতীয়, শুভেন্দু যেরকম স্পষ্ট ভাষায় মমতাকে চোর বলেন, হিন্দু একীকরণের কথা বলেন, এবং রাজ্য চষে বেড়ান, সেরকম অন্য কেউই পারেন না বা করেন না। সংস্কারের উপর একজন খুব জোর দিয়েছেন। সংস্কার ঠিকই আছে, কিন্তু ব্যবহারিক রাজনীতিতে এর স্থান সীমিত। সুতরাং, দোষগুণ বিচার করে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে নেতৃত্ব দেবার জন্য যোগ্যতর আর কেউ নেই।’
আরও পড়ুন: মেট্রোর দরজার বাইরে অনেকটা অংশ ফাঁকা, কালীঘাট স্টেশনে গার্ড রেল বসানো বন্ধ
সুকান্ত মজুমদার এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে যাওয়ায় বঙ্গ–বিজেপিকে তেমন সময় দিতে পারেন না। তাঁর মেয়াদও শেষ। এবার নতুন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বেছে নিতে হবে। এই আবহে শুভেন্দুর নাম ভাসিয়ে দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা দিলেন তথাগত রায়। আবার শিশির অধিকারীর সঙ্গে তথাগত রায়ের ভাল সম্পর্ক। সেই রসায়ন কাজ করল কিনা সেটাও অনেককে ভাবাচ্ছে। তবে ফেসবুক পোস্টের শেষে তথাগত রায় আর একটি লাইন লিখেছেন। তাঁর লেখা, ‘শ🧸েষে একটা কথা। যদি কুণাল বা তৃণমূলের অন্য কোন মাল কোন একজন বিজেপি নেতার হয়ে ওকালতি করে, তবে বুঝতে হবে, ডালমে কুছ কালা হ্যায়।’