রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সুর বদলেছে। রাজ্য–🐻বিজেপির দুই প্রধান মুখ তাতে খুশি। কিন্তু এই কৃতিত্ব কার তা নিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। একদিকে খুশি চেপে রাখছেন না শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সুকান্ত মজুমদার। কারণ শুভেন্দু রাজ্যপালের প্রধান সচিবকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। আর সুকান্ত মজুমদার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় বার্তা তুলে দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। তারপরই ভিন রাজ্যের প্রাক্তন আইএএস, আইপিএস, ম্যানেজমেন্ট গুরু, এমনকী ড্রোন বিশেষজ্ঞ নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গড়তে চলেছেন সিভি আনন্দ বোস। অভিযোগ, নবান্নকে কার্যত অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলার দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজকর্মে ‘কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ’ করা মূল উদ্দেশ্য।
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য ঠিক কী? সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বাংলার প্রশাসনিক কাজকর্মে ‘নজরদারি’র জন্য গড়া হয়েছে তিনটি কমিটি। কমিটিগুলি হল—গভর্নর’স অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল, গভর্নর’স এক্সপার্ট কমিটি এবং গভর্নর’স রিসোর্স গ্রুপ। তৈরি করা হয়েছে ‘গভর্নর’স গোল্ডেন গ্রুপ🦩’। রাজ্যপালের হঠাৎ সুর বদলে ধাক্কা খেয়েছে নবান্ন। তাই পাল্টা সুর চড়িয়ে বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কূণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের বদলে রাজভবনকে যদি কেউ বিজেপির রঙ্গমঞ্চ বানাতে চায়, প্রাক্তন আমলাদের পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করতে চায়, তাহলে প্রয়োজনে ভাষা ও মেজাজ বদলাবে তৃণমূল কংগ্রেস।’
কেন সরতে হল নন্দিনীকে? রাজ্যপালের প্রꦑধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজভবন থেকে সরানো হয়েছে। আর উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিজেপির 🐻যুক্তিকে সমর্থন করা হয়েছে। তাই এখন বড়লাটকে নিয়ে বিজেপি মোটের উপরে খুশি। সূত্রের খবর, অযথা এই উপদেষ্টা কমিটি নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জ𝔉ানিয়েছিলেন রাজ্যপালের 🦩সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। আটকে দিয়েছিলেন ফাইল। তাই রাজ্যপালের বিরাগভাজন হওয়া এবং তাঁকে অব্যাহতি দিতে চাওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতার? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গ✃োটা বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ থাকলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোনও রাখঢাক না করেই বলেন, ‘আমার বিশ্বাস উনি (রাজ্যপাল) এবার ট্রাকে ফিরছেন।’ কিন্তু এই কৃতিত্ব নিয়ে বঙ্ꩲগ–বিজেপির অন্দরে দড়ি টানাটানি জোর শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সুকান্ত মজুমদার দলের অন্দরে বলেছেন, রাজ্যপালকে নয়াদিল্লি থেকে ফিরে তিনিই রাস্তা দেখিয়েছেন। তারপরই রাজভবন থেকে জারি হয় কড়া বিবৃতি। শুভেন্দু আবার পাল্টা বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করার পর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘রাজভবন রাজ্যপালের মতো হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর মতো নয়। আমার বিশ্বাস রাজ্যপাল এবার আসতে আসতে তাঁর ট্রাকেই ফিরছেন।’ দলের অন্দরেও তিনি নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন।