ঘটনাটি ঠিক ৬ বছর আগের। কিন্তু বেকসুর খালাসের তকমা মিলল ৬ বছর পর। আর যে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁরা হলেন—বিজেপির বিধায়ক মুকুল রায় এবং বিজেপির সাংসদ𓄧 জগন্নাথ সরকার। তবে তাঁরা কেউ জেলে ছিলেন না। কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলা ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই মামলা চলছিল। আর সেখান থেকে আজ, বুধবার অব্যাহতি পেলেন মুকুল রায় এবং জগন্নাথ সরকার। বিধাননগরের অন্তর্গত ময়ূখভবনের বিশেষ আদালতের বিচারক তাঁদেরকে বেকসুর খালাস করেছে।
মুকুল রায় এখন অসুস্থ হয়ে বাড়িতে আছেন। আর জগন্নাথ সরকার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়েছেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নদিয়ার হাঁসখালিতে বাড়ির কাছেই সত্যজিৎ বিশ্বাসকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। আর মাথায় গুলি লেগে ঘটনাস্থল🍌েই মৃত্যু হয় সত্যজিৎ বিশ্বাসের। এই ঘটনাকে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলে উল্লেখ করেছিল বিজেপি। এই খুনের ঘটনার ১০ দিন পর মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে মোট পাঁচজনক🐠ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্ত সিআইডির হাতে যায়। তারপর প্রথমে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি।
আরও পড়ুন: ‘এটা ম্যান মেড বন্যা’, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে এই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন নাম জড়িয়ে যায় তৎকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং র🍒ানাঘাটের বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকারের। এফআইআর যেটা করা হয় এই খুনের ঘটনায় তাতে জড়িত সন্দেহভাজন হিসাবে তুলে ধরা হয় এই দুই নেতার নাম। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন পড়ℱে গিয়েছিল। পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। রানাঘাট অতিরিক্ত দায়রা আদালতে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পর্যন্ত পেশ করে সিআইডি। সূত্রের খবর, ওই চার্জশিটে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে মুকুল রায়ের নাম রাখা হয়। যা এখন আর রইল না।