ইতিমধ্যেই লোকসভায় গিয়ে শপথ নিয়েছেন বাংলার নবনির্বাচিত সাংসদরা। তিনজন ছাড়া বাকি সবাই শপথ নিয়েছেন। আর শপথবাক্য পাঠ করার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দেন। এতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ে। তাই এই বিষয়টিকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজ𒐪িৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তাঁর করা মন্তব্যের পর তাঁকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। ফলে তেতে উঠেছে রাজনীতির বাতাবরণ।
ইতিমধ্যেই কাঁথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী–সহ বঙ্গ–বিজেপির কয়েকজন সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবনের সামনে ছবি তোলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তখনই তাঁর কটাক্ষ, ‘জয় বাংলা একটা অসুখের নাম। যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন চোখে একটা বিশেষ ধরনের অসুখ করত। যাকে বলা হতো জয় বাংলা। নিমফল দিয়ে চোখ ঠিক করতে হতো। তখনই জয় বাংলা নামটা তৈরি হয়। ওদের হয়তো চোখ দিয়ে 🎃জল পড়ার সময় এসেছে। তাই জয় বাংলা, জয় বাংলা বলছে।’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এমন কটাক্ষ করলেও বাংলায় তেমন ভাল ফল করতে পারেনি। মাত্র ১২টি আসন পেয়েছে ৪২টি আসনের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণী সেℱতুতে ভয়াবহ ফাটল দেখা গিয়েছে, পুনর্নির্মাণের প্রস্♏তাব গেল এনএইচএ’র কাছে
সেখানে এবারে♏র লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ২৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ একধাক্কায় ৭টিꦛ আসন বাড়িয়েছে শাসকদল। সেখানে বিরোধী দল বিজেপি ৩০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও পৌঁছতে পারেনি। অনেক দূরেই থেমে যেতে হয়েছে পদ্মপার্টিকে। বিজেপির আসন সংখ্যা ২০১৯ সালের লোকসভা আসনের নিরিখে ৬টি কমে যায়। আর তা নিয়ে এখন বেশ চাপে আছে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। সর্বভারতীয় স্তরেও বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছয়নি। এখন শরিক দলগুলিকে নিয়ে তৈরি করেছে এনডিএ সরকার। এই অবস্থাতেও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায় প্রচ্ছন্ন হুমকি দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।
এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বোঝাতে চেয়েছেন, আগামীদিনে তৃণমূল কংগ্রেসের খারাপ সময় আসতে চলেছে। তাই ওরা জয় বাংলা বলে চিৎকার করছে। জবাবে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্র𒈔কাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন দিকভ্রান্ত মানুষ। অত্যন্ত নিম্নমানের আইনজীবী ছিলেন। পরে নিম্নমানের বিচারপতি হন। সেটা বাংলার মানুষ দেখেছে। তারপর তাঁর জীবনে শুভেন্দু অধিকারী এসেছে। ফলে এমন দুটি মানুষ এক জায়গায় এলে নিম্নরুচি তৈরি হয়। সেটাই সংসদের বাইরে বলেছেন।’