সন্দেশখালিতে গিয়ে সরস্বতী পুজো করা এবং তারপর পুলিশের স♏ঙ্গে অশান্তি করতে গিয়ে পড়ে চোট পান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের গাড়ির উপর উঠে তারপর পড়ে যান। এই নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে পুলিশ ফেলে দিয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। আর তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে, এটা পূর্ব পরিকল্পিত। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পা ধরে টেনে ফেলে দিয়েছে দলেরই এক মহিলা কর্মী। সেই ভিডিয়ো রয়েছে বলে দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে তাঁকে দেখতে অ্যাপোলো হাসপাতালে হাজির হন মিঠুন চক্রবর্তী। যিনি নিজেই সদ্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এবার সুকান্ত মজুমদারকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখতে গেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে সৌরভের এই ঝটিকা সফর নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। হঠাৎ তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে দেখতে ছুটলেন—যা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। কিচুদিন আগেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে চলে গিয়েছে। তারপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল। এমনকী বিদেশ সফরেও সৌরভ সঙ্গী ছিলেন মমতার। সেখানে এমন কী ঘটল? যার জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখতে ছুটলওেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সৌরভ–সুকান্ত সাক্ষাৎ নতুন জল্পনার জন্ম দিচ্ছে। আবার কি বিজেপির কাছাকাছি এসে উপরে উঠতে চাইছেন ﷽সৌরভ? উঠছে প্রশ্ন। মিঠুনের পরই সৌরভের সন্ধ্যায় আগমন এবং হাসি মুখে দু’পক্ষের কথা আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। যদিও এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই অনেকের মত। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কোন সমীকরণে সুকান্ত–সৌরভ সাক্ষাৎ তা জানতে চায় রাজ্যবাসী। কারণ বিজেপির কাছে দাগা খেয়ে দাদা যখন বিরক্ত তখন তাঁকে জায়গা দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিয়া🎉লদা মেন–বনগাঁ শাখায় সমস্ত ১২ কামরার ল💮োকাল ট্রেন, উদ্যোগ নিল পূর্ব রেল
সেখানে কেন এমন বিপরীত মেরুতে গমন? এই প্রশ্নই এখন রাজ্য–রাজনীতিতে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিসিসিআই থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিজেপির সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এখন সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে সুকান্তের আঘাত পাওয়া নিয়ে আজ, শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, ‘বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পা পিছলে পড়ে গেলেন। তার জন্য সংসদের স্বাধিকাররক্ষা কমিটি ডেকে পাঠাচ্ছেন আমাদের রাজ্যের অফিসারদের। আমাকে, মহুয়া মৈত্র, শ꧒ান্তনু সেন, বীরবাহা হাঁসদাকে যখন মারা হল তখন স্বাধিকার রক্ষা কমিটি কোথায় ছিল?’