বিজেপির নবান্ন চলো অভিযানে পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলে দায়ের মামলায় স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিকেলে এই মামলা দায়ের করেন বিজেপির সুবীর সান্যাল ও সুস্মিতা সাহা। সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ🐽্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করে।
বিজেপির দাবি, যে ভাবে তাদের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা তৈরি করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। রাস্তায় লোহার খুঁটি পুঁতে ব্যারিকেড করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, নিরস্ত্র বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে সশস্ত্র পুলিশ। তাদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। এমনকী বিজেপির রাজ🃏্য সদর দফতরে ঢুকে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। আহত হয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নবান্ন থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পালটা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, নবান্নের চারিদিকে সারা বছর ১৪৪ ধারা জারি থাকে। ফলে সেখ🐎ানে সভা সমাবেশ করা নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেছেন পুলিশকর্মীরা। তাই পু𝄹লিশ বাধা দিয়েছে। এছাড়া কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় যথেচ্ছ ভাঙচুর চালিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা হয়েছে একের পর এক পুলিশ কিয়স্ক। আগুন লাগানো হয়েছে পুলিশের গাড়িতে।
সব কথা শুনে আদালত সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, বিজেপির সদর দফ𓃲তরে ঢুকে পুলিশ লাঠি চালাল কেন? স্বরাষ্ট্র সচিবকে সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে তা জানাতে হবে। সরকারি আইনজীবী বলেন, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সবাইকে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হবে।