পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেতেই সন্ত্রাস তত্ত্বে শান দিয়েছিলেন বঙ্গ– বিজেপির নেতারা। কিন্তু তাতে কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা মান্যতা দেননি। বরং প্রত্যেকটি বিষয়ে শুধু নালিশ করা নিয়ে বঙ্গ–বিজেপির উপর বিরক্ত তাঁরা। এবার নয়াদিল্লি গিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। এমনকী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাজধানীর পথে হেঁটেছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আছ🐎ে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপর্যয়ের দায় ঝেড়ে ফেলতে নয়া পথ ধরল বঙ্গ–বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মণ্ডল সভাপতিদের ‘ভিলেন’ সাজিয়ে বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের মূল্যায়ন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে নিচুতলার একটা বড় অংশ দলকে হারিয়েছে। তাই মণ্ডল সভাপতিদের ছেঁটে ফেলার কাজও তাঁরা শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে গ্রামবাংলার বুথ স্তরে সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা সামনে আনতে চাননি তাঁরা। যদিও এই নিয়ে বরাবরই সরব বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি তিনি পর্যালোচনা বৈঠকে এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। বাক–বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। যা সাক্ষী থেকেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু বিজেপির নিচুতলার মূল ভিত ‘মণ্ডল’ স্তর। এখন তাঁদের উপরই খাঁড়া নামি♕য়ে আনতে চলেছে꧂ন রাজ্য নেতারা। এমনই একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই রিপোর্ট এবার কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জমা দেওয়া হবে। এটা কি নিজেদের চেয়ার বাঁচানোর কৌশল? উঠছে প্রশ্ন। বঙ্গ–বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৬০ শতাংশের বেশি মণ্ডলের শীর্ষ নেতাকে সরিয়ে দিয়ে বর্ধিত জেলা কমিটি গড়ে পুনর্বাসন দেওয়া হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের এমন সিদ্ধান্ত জানতে পেরে ক্ষুব্ধ দলের একাংশ। তাই নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক আদি নেতা বলেন, ‘এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ সন্ত্রাস—এই অজুহাত মেনে নেয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই এই বিকল্প যুক্তি খাড়া করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মণ্ডল ෴সভাপতিরা বলি হতে পারেন।’ বিষয়টি নিয়ে এখন জেলাস্তরে জোর চর্চা হ♛তে শুরু করেছে। তাই খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে। যদি মণ্ডল সভাপতিদের উপর কোপ আসে তাহলে তাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আখেরে ক্ষতিই হবে বঙ্গ–বিজেপির বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মণিপুর–মালদা ইস্যুর ঢেউ কি আছড়ে পড়বে বিধানসভায়? প্রস🎐্তুতি নিচ্ছে দু’পক্ষই
কেমন কোপ পড়তে পারে? বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে তাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে আসন সংখ্যা সাংঘাতিকভাবে কমবে। এমনিতেই ইডি–সিবিআই থেকে শুরু করে কলকাতা হাইকোর্ট করেও পঞ্চায়েত নির্ব♏াচনে গোহারা হয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই এখন মণ্ডল সভাপতিরা পিছন থেকে ছুরি মেরেছে এই তত্ত্ব খাঁড়া করতে চাইছে বিজেপি নেতারা। তাই কো🐭প হিসাবে রদবদল করার প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে অনেকে বিদ্রোহ করতে পারেন। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ১৩০৭টি মণ্ডল রয়েছে বিজেপির। তার মধ্যে প্রায় ৮০০ মণ্ডল সভাপতিকে বদল করা হতে পারে। আর ইতিমধ্যে ৩৯০ জন মণ্ডল সভাপতি বদল করা হয়েছে।