আজ, বুধবার নয়াদিল্লি গিয়েছেন বঙ্গ–𓆉বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের। তাই নয়াদিল্লি গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার–শুভেন্দু অধিকারী–দিলীপ ঘোষ এবং আরও কয়েকজন। তার আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেন সুকান্ত মজুমদার। আজ, বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার কথা ত🥀াঁদের।
ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার? এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে। আসলে দলের প্রত্যেকে জড়িত। একে একে সবার নামই সামনে আসবে। আর একে একে সব মন্ত্রীরা যদি জেলে যান, তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন পড়তেই পারে।’ অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর তারপরই জারি করে দেওয়া হবে রাষ্ট্রপতি শাসন বলে সূত্রের খবর। এই পরিকল্প༺নার কথাই আজ প্রকাশ্যে বলে ফেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সুকান্ত মজুমদারের চিঠিতে কী লেখা আছে? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধা🔜র হয়েছে। আবার✨ গরু পাচার মামলায় সিবিআই তলব করলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী, শওকত মোল্লার মতো তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা রয়েছেন সিবিআই এবং ইডি’র নজরে। ১৯ জন শীর্ষ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় ইডিকে পার্টি করেছে কলকাতা হাইকꦏোর্ট।
আপনি কী রাষ্ট্𒆙রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে কি হবে না, সেটা প্রশাসনিক ব্যাপার। কিন্তু, একের পর এক মন্ত্রী জেলে গেলে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন তো পড়বেই।’ সুকান্তের এই কথা বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ কোথাও একটা বড় পরিকল্পনা আছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই🧸 ১৯ জন নেতার সম্পত্তি সংক্রান্ত যে মামলায় ইডি–কে কলকাতা হাইকোর্ট পার্টি করতে বলেছে সেখানে ফিরহাদ হাকিম, অর্জুন সিং–সহ তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ১৯ জন নেতার রয়েছে।