সন্দেশখালির পথে কলকাতার উপকণ্ঠেই ফের বিজেপিকে আটকানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার বিজেপির মহিলা প্রতিনিধিদের নিউ টাউনের হাতিশালায় আটকাল পুলিশ। বাধা পেরিয়ে তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহানের বাহিনীর দ্বারা আক্রান্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার চেষ্টা করায় একের পর এক বিজেপি নেত্রীকে𝐆 আটক করে নিয়ে গেলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: জনগর্জন সভার প্রস্তুতি মিটিংয়ে দুই কাউন্সিলরের অনুগামীদের মধ্য়ে মা꧟রপিট, বিরক্ত অভিষেক
নারী দিবসে বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রতিবাদী নারীদের সম্মান জানানোর পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। সেই মতো দুপুরে রওনা দেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, ভারতী ঘোষ✅, ফাল্গুনী পাত্ররা। তাঁদের কনভয় হাতিশালায় পৌঁছতেই ব্যারিকেড করে বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপি নেত্রীদের জানানো হয় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা থাকায় তাঁদের সন্দেশখালি যেতে দেওয়া যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে কোন প্রশাসনিক নির্দেশিকা বলে তাঁদের আটকানো হল তা দেখতে চান বিজেপি নেত্রীরা। কিন্তু পুলিশ কোন ও কাগজ দেখাতে পারেনি বলে দাবি তাঁদের। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। শুরু হয় ধ♑াক্কাধাক্কি।
এরই মধ্যে ধরনায় বসে পড়েন লকেট ও অগ্নিমিত্রা। ওদিকে ফাল্গুনী পাত্রকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলেন পুলিশকর্মীরা। এর পর লকেট ও অগ্নিমিত্রাকে পুলিশের গাড়িতে তোলারꦆ চেষ্টা শুরু হয়। তাদেরও গায়ের জোরে পুলিশের গাড়িতে তোলেন পুলিশকর্মীরা। বিজেপি নেত্রীদের নিয়ে কলকাতার দিকে ছোটে পুলিশের গাড়ি। তবে তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: সভা থেকে ফেরার পথে নন্দীগ্রাম⛄ে TMC কর্মীদের ওপর হামলা, কাঠগড়♎ায় BJP
আটক হওয়ার আগে লকেট বলেন, ‘এই সরকার এই পুলিশ ধর্ষকদের⛄ 🦋পাশে রয়েছে। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তাই নারীদের সম্মান জানাতে যাওয়ার পথে আমাদের আটকানো হল। তাও আবার কলকাতা থেকে বেরনো মাত্রই। যেখানে ১৪৪ ধারা কোনও দিন জারি ছিল না। পুলিশ আমাদের কোনও নথি দেখাতে পারেনি। গায়ের জোরে আটকেছে। মানুষ সব দেখছে। মানুষ একদিন এই পুলিশের উর্দি খুলে নেবে।’