আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চার রাজ্যের ফলাফল প্রকাশ পাবে। আর তাতেই স্পষ্ট হবে ‘হাত’ শক্ত হচ্ছে নাকি ফুটছে পদ্ম। এই আবহে বঙ্গ–বিজেপিতে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক ঝাঁক বিজেপি বিধায়ক–সাংসদ শিবির বদলের ‘যাত্রা’ করবেন বলেই সূত্রের খবর। তবে তার তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল যদি আজ, রবিবার পক্ষে না আসে, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে যেতে চান তাঁরা। আগ্রহীর সংখ্যা কত? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, সাংসদ–বিধায়ক মিলিয়ে সংখ্যাটা ২৮ থেকে কমবে না। তার মধ্যে সাংসদ রয়েছেন ৬ জন। বাকিরা বিধায়ক♌। বিজেপি এই নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেলেই প্রভাব পড়বে বাংলাতে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা জানান, বঙ্গ–বিজেপি ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে। রবিবারের পর ত💜া স্পষ্ট হবে।
এদিকে চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ শুরু হচ্ছে। সোমবার ভোট গণনা হবে মিজোরামে। ইতিমধ্যেই এক্সিট পোলে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে কংগ্রেসকে এগিয়🎀ে রেখেছেন বেশিরভাগ সমীক্ষা। এই ফল একদিকে গোটা দেশে প্রভাব ফেলবে, অপরদিকে নির্ণায়ক হতে চলেছে বাংলার ক্ষেত্রেও। গত ২৩ নভেম্ব♌র নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ সভা থেকে ভাল মানুষদের দলে সামিল করার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই আবার তৃণমূলের যোগদান মেলা শুরুর গুঞ্জন তৈরি হয়।
অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। সেখানে কথা হতে পারে অনেকের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছেন বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ শর্মা।෴ ফলে উত্তরে ভাঙন একেবারে স্পষ্ট। তার মধ্যে চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যদি বিজেপির ভাল না হয় তাহলে সরাসরি প্রভাব পড়বে বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে। এখান থেকে বহু সাংসদ–বিধায়ক এবং নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলেই সূত্রের খবর। এখন একটু ভেঙে ১৬ জন সাংসদ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বঙ্গ–বিজেপির। তার উপর চা– বাগানগুলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শিশু ক্রেশ, বিনামূল্যে রেশন, আর্থিক ভাতা এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র দারুণ কাজ করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে তার ফল পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার বাড়ি♔’ কিনে বিক্রি করলে ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে, সতর্ক করলেন খোদ মেয়র
গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষের কথায়, ‘বিজেপির ২০–২২ জন এমন বিধায়ক আছেন যাঁরা সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে😼ন। এই নিয়ে সঠিক সময়ে যাথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়করা ওখানে টিকতে পারছেন না। কাজ ক♈রতে পারছেন না। কাজের জন্যই তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চান। সেই প্রসেসটা চলছে।’ কুণাল ঘোষ এই দাবি আগেও করেছেন। তবে সময়টা জানাননি। পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে কজন ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে তাঁদের নিয়ে চলে যান। কী সমস্যা। বিজেপি দরজা খুলে দেবে কিন্তু ঢোকার দরজা আপাতত বন্ধ।’