তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার আবহে আর একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালে। অভিযোগ, হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে দেখতে পাওয়া গিয়েছে রক্তমাখা গ্লাভস। আরও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলও গ্লাভসটি প🐷্যাকেট বন্দি ছিল। শুধু একটি নয় বেশ কয়েকটি নতুন গ্লাসভে এভাবে রক্ত দেখা গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়ররা। এই অবস্থায় কীভাবে এই ধরনের গ্লাভস পড়ে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়াররা। এই ঘটনায় সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্য সচি🔯ব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।
আরও পড়ুন: বোধনের দিনে 💞বোধোদয়? আমরণ অনশনের ৯৪ ঘণ্টার ম🅷াথায় জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকল রাজ্য
জুনিয়রদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগেও আরজি করে এইভাবে নোংরা গ্লাভস পাওয়া গিয়েছে। তবে রক্ত মাখা এই গ্লাভসের ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক ইন্টার্নের দাবি, তিনি এইচআইভি আক্রান্ত এক🉐 রোগীর রক্ত পরীক্ষা করার জন্য গ্লাসভ চেয়েছিলেন। প্যাকেট থেকে একটি গ্লাভস বের করতেই দেখেন তাতে রক্ত লেগে রয়েছে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন কেউ ভুলবশত পুরনো গ্লাভস নতুন প্যাকেটে রেখে দিয়েছিলেন। পরে অন্য গ্লাভস বের করতেই একই সমস্যা দেখতে পান। শেষ পর্যন্ত গ্লাভস ফেলে দেন তিনি। তখন নার্সকে জিজ্ঞাসা করে তিনি জানতে পারেন, বৃহস্পতিবার ওই প্যাকেট খোলা হয়েছে। নতুন প্যাকেটে কীভাবে রক্তমাখা গ্লাভস এল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই এবিষয়টি জানানো হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি গ্লাভসের প্যাকেটটিকে♐ আলাদাভাবে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে জুনিয়র 🐟ডাক্তারদের বক্তব্য, এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চেয়ে তাদের আন্দোলন। এক আন্দোলনকারী বলেন, এভাবে রক্তমাখা গ্লাভস ব্যবহার করে রোগীর চিকিৎসা করলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। কোনও রোগীই চাইবেন না এভাবে রোগ তার শরীরে ছড়িয়ে পড়ুক। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরূপ জানিয়েছেন প্যাকেট থেকে আলাদাভাবে সরিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তিনি জানান, কীভাবে গ্লাভসে রক্ত এল তা খতিয়ে দেখা হবে। কারও গাফিলতি থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।