এখনও শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি আছে। তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বাইপ্যাপ বা নন ইনটেনসিভ ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছে। আপাতত শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।শরীরে অক্সিজেনের সম্পৃক্ততার মাত্রা কমে যাওয়ায় বুদ্ধদেববাবুকে হাসপাতালে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তারপর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী। এছাড়াও আছেন সৌতিক পান্ডা, অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমনাথ মাইতি, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল এবং ধ্রুব ভট্টাচার্য।কৌশিকবাবু জানান, আপাতত বুদ্ধদেববাবুর শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব আছে। বাড়িতে চিকিৎসা চললেও তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে যায়। সেজন্য হাসপাতালে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। তবে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যা থাকায় ফুসফুস কিছু পরিবর্তন এসেছে। আপাতত তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্টেরয়েড ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে আরও কয়েকটি রক্তপরীক্ষা-সহ অন্যান্য পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়ে গেলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান বলেন, ‘(প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর) জ্ঞান আছে। তিনি কথা বলছেন।’এমনিতে সিওপিডির সমস্যা থাকলে শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু সিওপিডির কারণেই বুদ্ধদেববাবুর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সন্ধ্যায় সব রিপোর্ট হাতে এলে বিষয়টি বোঝা যাবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শর্করা পরীক্ষাও করা হচ্ছে।