সময় যত এগোচ্ছে তত আতঙ্কের প্রহর গুণছেন বাস মালিক সংগঠন। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, ১৫ বছরের পুরনো বাস আর রাস্তায় নামানো যাবে না। এই আবহে এবার বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হল বাস মালিকদের সংগঠন। বাস ভাড়া বাড়লে ত𒅌ার ভরসায় নতুন বাস নামানো যাবে। আর পেট্রপণ্যের দাম এখন অনেকটা বেশি। তাই বাসভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে তাঁরা সওয়াল করছেন। আর এই বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবি তু🍨লে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং সচিব সৌমিত্র মোহনকে এবার চিঠি দিল বাস মালিকদের সংগঠন সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেস। ২০১৮ সালে শেষবার এক টাকা বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।
এদিকে ২০১৮ সালের পর থেকে বেসরকারি বাসভাড়া বাড়ানো হয়নি। তার মধ্যে এখানে ঘটেছিল ভয়াবহ করোনাভাইরাস। তাই মানুষের উপর আর্থিক বোঝা চাপুক চায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু বাস মালিকদের যুক্তি, করোনাভাইরাসের জেরে বেসরকারি পরিবহণ পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আর বেড়েছে বাস চালানোর খরচ𒐪। তাই পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিয়ে বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবি করেছেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁরা মন্ত্রীকে লিখেছেন, বেসরকারি বাস পরিবহণের খরচ কয়েক বছরে মারাত্মক বেড়েছে। সবমিলিয়ে খরচ বার্ষিক প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। তাই বাসভাড়া না বৃদ্ধি করলে বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা জিততে মেন্টরের ꦿদায়িত্বে তৃণমূল সাংসদ, কে করবেন বাজিমাত?
অন্যদিকে বাসভাড়া বৃদ𒈔্ধি করলে বাস চালানো কিছুটা সহজ হবে। আর্থিক বোঝা কিছুটা সুরাহা হবে বলে চিঠিতে লিখেছেন বাসমালিক সংগঠনের কর্তারা। এখন কলকাতা ও শহরতলি মিলিয়ে ৪২০০ বেসরকারি বাস চলাচল করে। আগামী অগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা বাসগুলি বাতিলের তালিকায় চলে যাবে। এটাই কলকাতা হাইকোর্টের রায়। তাই এখন চাপে রয়েছেন বাস মালিকরা। এই ঘটনা ঘটলে কলকাতা শহরে চোখের নিমেষে অনেক বেসরকারি বাস কমে যাবে।🔥 এই পরিস্থিতিতে যদি বাসভাড়া বৃদ্ধি করা না হয় তাহলে বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা ভেঙে পড়বে বলেই মনে করেন বাস মালিকরা।