গত বিধানসভা ভোটের পর প্রথমবার বঙ্গ সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে গিয়েছিলেন, করোনা মিটলেই সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে। এবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দিলেন, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে। কিছুদিন আগে হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার জানিয়েছিলেন, সিএএ কার্যকর🍰 না হলে আগামী নির্বাচনে তিনি ভোট চাইতে যেতে পারবেন না। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লেখেন তিনি। এবার রাজ্য বিজেপি সভাপতির সিএএ কার্যকর না নিয়ে বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি হায়দরাবাদে ব🐟িজেপির জাতীয় কর্মসমি𒐪তির বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৈঠক থেকে ফিরে এসে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, ‘বিজেপি যা বলে তা করে দেখায়। রামমন্দির তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য ছিল। সেটা আমরা আইন ছাড়াই করে দেখিয়েছি। সিএএ আমাদের লক্ষ্য। সিএএ আমরা কার্যকর করব। ২০২৪ꦇ সালে লোকসভা ভোটের আগেই হবে।’ উল্লেখ্য, গত লোকসভা জয়লাভের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ আইন পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দেশ জুড়ে প্রবল বিরোধিতার মধ্যে পড়ে সিএএ কার্যকর করতে পারেনি কেন্দ্র। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে এনআরসি–ও চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে এদিন রাজ্য বিজেপꦐি সভাপতি থেকে স্পষ্ট, আগামী লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে সিএএ–কে চালু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
ইতিমধ্যে রাজ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে সিএএ চালু করার 𝐆ব্যাপারে প্রবল চাপ রয়েছে। মতুয়াদের এই দাবির কথা বিজেপি নেতৃত্ব জানে। গত লোকসভা ভোটে মতুয়াদের ভোট যে বিজেপির কাছে গিয়েছে, সেটা এই সিএএ–কে হাতিয়ার করেই, সেকথা বিলক্ষণ জানে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাই 𝄹এবার কি তাহলে সেই সিএএ–কেই ভোট চাইবার হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি, সেই প্রশ্নও উঠছে। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, ‘এই সব কথা বলে দেশের মানুষের মনে বিষ ঢালছে বিজেপি। যাদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, যারা প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করেছেন, তারা তো আগে থাকতেই এই দেশের নাগরিক। বাংলার মানুষ এসব সমর্থন করবে না।’