পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পরই তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যপদ খারিজ হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এখনও তা হয়নি। এখনও বনমন্ত্রী রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনক𒁃ী শিল্প দফতরের একটি দায়িত্ব রয়েছে তাঁর। তবে জ্যোতিপ্রিয়কে কি মন্ত্রিসভায় রেখে তাঁর দফতরের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নবান্নে। আজ, বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ঘিরে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর এই গ্রেফতারের ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। জ্যোতিপ্রিয় তো বলেছেন, সবটাই ষড়যন্ত্র। হাত আছে শুভেন্দুর।
এদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে তৃণমূল ﷽কংগ্রেসের মনোভাব পার্থর মতো নয় সেটা স্পষ্ট। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মতো জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ কারও বাড়ি থেকে টাকা মেলেনি। পার্থর ক্ষেত্রে যে মহিলা সংসর্গের অভিযোগ আছে, জ্যোতিপ্রিয়র ক্ষেত্রে সেসব নেই। তাছাড়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে এখনও সবটাই অভিযোগের পর্যায়ে রয়েছে। আবার রেশন দুর্নীতি শুরু হয় বামফ্রন্টের আমল থেকে। জ্যোতিপ্রিয়র পাশে দাঁড়িয়ে একথাও বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দুর্নীতি ‘ব্যক্তিগত’। তাই গোটা দল এবং প্রশাসনে দুর্নীতি নেই। তবে এবার প্রশাসন নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী? সেটাই এখন দেখার।
অন্যদিকে🧸 সূত্রের খবর, আজ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দফতর রদবদলের আলোচনা সম্ভবত হবে না। জ্যোতিপ্রিয়র দফতর এখনই কাউকে দিয়ে দেওয়া নাও হতে পারে। বরং সেটা জ্যোতিপ্রিয়র কাছেই থাকবে। বন দফতরের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে হলে তার ইঙ্গিত নিজেই দিতেন মুখ্যমন্ত্রী। তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। তবে দফতর কার হাতে যেতে পারে এমন একটা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শিল্পমন্ত্রক এখন রয়েছে শশী পাঁজার কাঁধে। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারেই আলাদা। তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতাই জ্য়োতিপ্রিয়র পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুর চড়িয়েছেন বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ‘দলের পদ কুক্ষিগত করতেই ব্যস্ত কার্যকর্তারা’, বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের🧔 তুলোধনা🐈 তথাগতর
আর কী জানা যাচ্ছে? জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর এখনই কাউকে দিয়ে দেওয়া মানে রেশন দুর্নীতির অভিযোগকে মেনে নেওয়া। যেখানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই জাল রেশন কার্ড বাতিল হয়েছিল বলে খবর। সুতরাং তাঁকে এখন দফতর বিহীন মন্ত্রী করে রাখলেও সেটা নিয়ে জোর চর্চꦦা শুরু হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে ধীরে চলো নীতি নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।