নিয়োগ দুর্𒅌নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ একের পর এক তৃণমূল নেতার গ্রেফতারিতে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের রস্টার। অর্থাৎ যে তালিকা অনুসারে বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় নির্ধারিত হয়, বা কোন বিচারপতির এজলাসে কোন মামলা উঠবে তা ঠিক হয়। নিয়ম মেনে বৃহস্পতিবার গরমের ছুটির মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বিচারপতিদের নতুন রস্টার। তাতে প্রাথমিকের মামলার শুনানির দায়িত্ব বহাল রয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতেই। অর্থাৎ ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি করবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই।
প্রতি বছর গরমের ছুটিতে বিচারপত🥃িদের নতুন রস্টার প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির পদে শপথ নেওয়ার পর এদিন প্রথম রস্টার প্রকাশ করেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রস্টার অনুসারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শুনবেন প্রাথমিক মামলা, তবে সুপ্রিম কোর্ট যে মামলাদুটির এজলাস বদল করতে নির্দেশ দিয়েছিল সেগুলি শুনবেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বেনিয়মের কারণে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলাও থাকবে তাঁরই এজলাসে।
মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সংক্রান্ত মামলা শুনবেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত মামলা শুনবেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। সিবিআই তদন্তের দাবি সংক্রান্ত মামলা শুনবেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সিবিআই – ইডি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী শুনবেন জমিজমার বিবাদ সংক্রান্ত মামলা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা শুনবেন পঞ্চায়েত ও পুরসভা সংক্রাꦺন্ত মামলা।
বলে রাখি, কুন্তল ঘোষে⛄র অভিযোগের ভিত্তিতে ইডির দায়ের করা মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলবের অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সর্𓂃বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশের পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন একে একে সব মামলাই আমার হাত থেকে চলে যাবে। সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিও। ফলে নতুন রস্টারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচার্য বিষয় বদল হতে পারে বলে অনুমান করেছিলেন অনেকে। কিন্তু মিলল না সেই পূর্বাভাস।