আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার জেরে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ–আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে।⛄ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা খবর চাউর হচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ছবি–ভিডিয়ো যাতে কোনওভাবে না ছড়ায় তꩲা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এখনও তা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এই আবহে এবার সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জয়েন্ট ডিরেক্টরের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
বুধবার রাতেও চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদে নামেন। অন্ধকারে ঢেকে যায় ভিক্টোরিয়🦂া মেমোরিয়াল থেকে রাজভবন। আর আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ছবি ব্যবহার করে খারাপ মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আইনজীবী শুভব্রত চৌধুরী কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেখানে মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, নির্যাতিতার ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমন্তব্য করে যাচ্ছেন একদল যুবক। যাদের বিরুদ্ধে🦄 কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদটাও হোক’, এক্স হ্যান্ডেলে গর্জে উঠলেন কুণাল
এই বিষ🔯য়টি নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার মামলাটি প্রধান বিচারপতির এজলাসে ওঠে। আর তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যে ধরণের মন্তব্য আপলোড করা হয়েছে সেটা সমাজের কোনও মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যেহেতু এই মামলা তদন্ত করছে সিবিআই তাই এই বিষয়টিও তাঁরাই খতিয়ে দেখবে। তাই সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরের রিপোর্ট তলব করা হচ্ছে।’ এই মামলায় অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, সিবিআইয়ের সাইবার অপরাধের জন্য কোনও আলাদা শাখা নেই। তাই কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখাকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হোক। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে।
আরজি কর হাসপাতালের ꦦঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এখন এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে এমন ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নির্যাতিতার ছবি–সহ খারাপ কমেন্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশ করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তাই এই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতাকে নিয়ে কুমন্তব্য করার জন্য মহিলা বাসযাত্রীরা তেড়ে গেলেন এক পুরুষ যাত্রীর দিকে। ধর্ষণ–খুন নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে ওই পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে।