রশিদ খান বল হাতে কতটা কার্যকরী, সেটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। আফগান তারকারꦏ ব্যাটের হাতও যে মন্দ নয়, সেটাও বোঝা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রশিদ সুপারস্টার ব্যাটারদের মতো দৃষ্টিনন্ꦺদন সব শট খেলতে পারেন। ধোনির হেলিকপ্টার শট এতদিনে যাঁরা যথাযথ রপ্ত করতে পেরেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রশিদ।
এবার আইপিএল ম্যাচে ঋষভ পন্তের মতো নো-লুক শট খেলার অনবদ্য নমুনা পেশ করলেন রশিদ। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন শট হলেও এক্ষেত্রে ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি গুজরাট টাইটানসের আফগান তারকার। কেননা দৃষ্টিনন্দন শটে বাউন্ডারি পাওয়ার বদলে উইকেট খোয়াতে হয় রশিদকে। যদিও রশিদের উইক𝓀েটের জন্য তাঁর শট নির্বাচনকে ভুল বলা যাবে না মোটেও। বরং পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে হয় ফিল্ডার যশস্বী জসওয়ালকে। কেননা যশস্বী এক্ষেত্রে যেমন ক্ষীপ্রতার সঙ্গে ক্যাচ ধরেন, তাকে এককথায় অসাধারণ বল﷽তেই হয়।
বুধবার আমদাবাদে গুজরাট ইনিংসের ১৮.৬ ওভারে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের নমুনা পেশ করেন যশস্বী। তুষার দেশপান্ডে ౠঅফ-স্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার ডেলিভারি করেন। রশিদ খান অফ-স্টাম্পের দিকে অনেকটা সরে আসেন এক বলের দিকে না তাকিয়েই লেগ-সাইডে নটরাজ শট খেলেন। বল উড়ে যায় স্কোয়ার-লেগ অঞ্চলে। যশস্বী নিজের ডানডিকে শরীর ছুঁড়ে দেন। কার্যত শূন্য ওড়া অবস্থাতেই বল লুফে নেন জসওয়াল।
যশস্বীর এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্য রশিদ খানকে ব্যক্তিগত ১২ রানের মাღথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। রশিদ ৪ বলের সংক্ষিপ্ত ইনিংসে ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
দাপুটে জয় গুজরাট টাইটানসের
যশস্বীর এমন দুরন্ত ফিল্ডিং সত্ত্বেও গুজরাট টাইটানসের কাছে ৫৮ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হয় রাজস্থান রয়্যালসকে। মোতেরায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গুজরাট টাইটানস। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২১৭ রানের বিশাল ইনিস গড়ে তোলে। ৫৩ বলে ৮২ রান করেন সাই সুদর্শন। তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। জোস বাটলার ৩৬, শাহরুখ খান ৩৬ ও রাহুল তেওয়াটিয়া অপরাজিত ২৪ রান করেন। ২♔টি করে উইকেট নেন রাজস্থানের মাহিশ থিকশানা ও তুষার দেশপান্ডে।
জবাবে ব্য🍸াট করতে নেমে রাজস্থান ১৯.২ ওভারে ১৫৯ রানে অল-আউট হয়। ৩২ বলে ৫২ রান করেন শিমরন হেতমায়ের। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। সঞ্জু স্যামসন ৪১ ও রিয়ান পরাগ ২৪ রান করেন। ৩টি উইকেট নেন গুজরাটের প্রসিধ কৃষ্ণা। ম্যাচের সেরা হন সুদর্শন।