শহরের কিডনি বলে পরিচিত পূর্ব কলকাতার জলাভূমি। এই জলাভূমি বাঁচাতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের পরিবেশ দফতর। কিন্তু, তারপরেও এই জলভূমি এলাকায় একের পর এক তৈরি হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ। যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এমন অবস্থায় পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে অবৈধ নির্মাণ রুখতে নজরদারি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতার হাইকোর্ট। আদালতের ൲বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ৮ সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে এই কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি পূর্ব কলকাতা জলাভূমি নিয়ে যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাকেও কার্যকর করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব কলকাতার জলাভূমি নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। তাতে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কলকাতার জমিতে রয়েছে 'ফাঁদ', প্লট-ফ্ল্যাট কেনার আগে হয়ে যান সাবধাꦆন
সাধারণত কলকাতা মহানগরের নিকাশি এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই জলাভূমির। শহরের কার্বন ডাꦫই অক্সাইড শুষে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই জলাভূমির। তাছাড়া, মাছ ও সব্জি মিলিয়ে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের জীবিকা নির♌্ভরশীল এই জলাভূমির ওপর। সাধারণত কলকাতার পাঁচটি প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১৭ কোটি ৯০ লক্ষ ২১ লিটার তরল বর্জ্য পরিশোধন হয়। সেখানে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি প্রাকৃতিক উপায়ে রোজ কোনও খরচ ছাড়াই ৯১ কোটি লিটার তরল বর্জ্য শোধন করে। ফলে এই জলাভূমিকে রক্ষা করা খুব প্রয়োজন। এই অবস্থায় সেখানে অবৈধ নির্মাণ হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। সেই মামলার ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের ꦜনির্দেশ এই কমিটিতে জেলা শাসক, মৎস্য দফতর, পরিবেশ দফতরের অফিসাররা থাকবেন। তাছাড়া মামলাকারীদের প্রতিনিধিদেরও এই কমিটিতে রাখা যেতে পারে। আদালতের নির্দেশ, সেখানে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে কিনা মাঝেমধ্যে পুলিশকে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করবে এই তদন্ত কমিটি। সে ক্ষেত্রে কোনও অবৈধ নির্মাণ থাকলে তা সরিয়ে দিতে পারবে এই কমিটি। তবে সে ক্ষেত্রে কমিটির নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনে নির্মাণ ভাঙতে পারবে এবং তার জন্য নির্মাতার কাছ থেকে খরচ আদায় করতে পারবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে এই কমিটি।
অভিযোগ, এই জলাভূমির উপরে একটি সেতু অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে জলাভূমি কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সেই সেতুর ধ্বংস💜াবশেষ খালের মধ্যে পড়ে রয়েছে। যার ফলে খালের স্বাভাবিক জলপ্রবাহ ব্যহত হয়েছে।