এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি যখন সরগরম ছিল, সেই সময় কল্যাণীর এইমস হাসপাতালেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আর এই অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিধায়ক, নেতাদের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা এবং বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ। এই মামলা খারিজ করে দিল কলক🦋াতা হাইকোর্ট। যা নিঃসন্দেহে বিজেপি নেতাদের কাছে বড় স্বস্তি।
আরও পড়ুন: সাবধান! সোশ্যাল মাধ🐭্যমে AIIMS-এ নিয়োগের ভুয✨়ো বিজ্ঞপ্তি, সর্তক করল কর্তৃপক্ষ
কল্যাণী এইমস হাসপাতালে আত্মীয়স্বজনদের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও তাঁর মেয়💮ে, বঙ্কিম ঘোষের ভূমিকা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে সুপারিশ করে তিনি চাকরি পেয়েছেন। একই অভিযোগ উঠেছিল নীলাদ্রির মেয়ে🔜র বিরুদ্ধে। বঙ্কিমের পুত্রবধূকেও তলব করে সিআইডি। পরপর দু’বার নোটিস দেওয়া হয়। এমনকী তাদের বাড়িতেও সিআইডি হানা দেয়। যদিও প্রথম থেকেই এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে বিজেপি নেতারা দাবি করে আসছিলেন।
২০২২ সালে চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ও বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।শুধু তাই নয়, কল্যাণী এইমস হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ায় বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার, রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার🌄ের। কল্যাণী এইমস 🧸হাসপাতালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সি–সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দুই বিজেপি বিধায়ক। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের একক বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করে দেয়। বিধায়কদের পক্ষের আইনজীবীরদের যুক্তি ছিল, কোনও সরকারি আধিকারিক বা জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা শুরু করতে গেলে সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হয়। তাহলে তদন্ত করা যায় না। এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের তরফে কোনওরকমের অনুমতি সরকারের কা🐽ছে নেওয়া হয়নি। ফলে এক্ষেত্রে মামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলেই দাবি তোলেন তাদের আইনজীবীরা। সেই যুক্তি মেনে নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলা এদিন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।