৩০ বছরের বৈবাহিক জীবন। কিন্তু কোনও সন্তান ছিল না তাঁদের। এদিকে উত্তরাধিকার কাকে রেখে যাবেন? সেকারণে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁরা সন্তান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটার জন্য স্বাস্থ্য় দফতরের অনুমতির প্রয়োজন হয় কিছু ক্ষেত্রে। সেই অনুমতি মিলছিল না কিছুতেই। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দম্পতি। আর অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মিলল অনুমতি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই দম্পতিকে টেস্ট টিউব বেবি নেওয়ার জন্য় অ꧋নুমতি দিয়েছেন। কা🍨শীপুরের ওই দম্পতির সংসারে এখন খুশির হাওয়া।
টেস্ট টিউব বেবির জন্য বিশেষ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতর থেকে অনুমতি নিতে হয়। আসলে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই দম্পতি পিএইচএস ফার্টিলিটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে দেখা যায় স্বামীর বয়স কিছুটা বেশি। অর্থাৎ সাধারণত নিয়ম অনুসারে এক্ষেত্রে স্বামীর বয়স হতে হবে ২১ বছর থেকে ৫৫ বছরের মধ্য়ে। অন্যদিকে স্ত্রীর সর্বোচ্চ বয়স হতে হবে ৫০ বছর। তবে এক্ষেত্রে স্বামীর বয়স নির্ধারিত বয়সের থেকে কিছুটা বেশি ছিল। অর্থাৎ তাঁর বয়স ছিল ৫৮ বছর। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। এরপর তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই অনুমতি মেলেনি। এরপর তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ 💟হয়েছিলেন।
অবশেষে সেই হাইকোর্ট থেকে ছাড়পত্র মিলেছে। মামলাকারীদের পক্ষের যিনি আইনজীবী ছিলেন সেই অচিন জানা আবেদন করেছিলেন, ওই দম্পতি 𝓀আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। সন্তান মানুষ করার মতো আর্থিক অবস্থা রয়েছে তাঁদের। বয়সটা কোনও বাধা হবে না। এরপরই টেস্ট টিউব বেবির অ💙নুমতি দেন বিচারপতি। অত্যন্ত যুগান্তকারী রায়। বহু নিঃসন্তান দম্পতির কাছে খুশি বয়ে আনবে এই রায়।
প্রসঙ্গত দম্পতির বিয়ে꧃ হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তারপর থেকেই তারা সন্তানহীন রয়েছেন।
এদিকে বেসরকারি ক্লিনিকের সহযোগিতায় টেস্ট টিউব꧃ বেবি করাতে গেলে বহু টাকা খরচ হয়। তবে এর ব্যতিক্রমও 𒁏রয়েছে।
গত অক্টোবর মাসেএসএসকেএম হাসপাতালে ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে এক শিশুর জন্ম হয়েছিল, তার জন্য প্রসূতির পরিবারকে এক টাকাও খরচ করতে হয়নি𝔍 বলে খবর।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জন্মের পর থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে সদ্যোজাত। তার ওজন💟 প্রায় ৩ কিলোগ্রাম। সুস্থ রয়েছেন প্রসূতিও। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, ভারতে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে মানব শিশুর জন্ম দেওয়ꦆার প্রযুক্তির প্রবর্তন ঘটিয়েছিলেন করেছিুলেন ডা. সুভাষ মুখোপাধ্য়ায়। প্রয়াত ডা. মুখোপাধ্যায়ের অন্যতম সহযোগী ছিলেন ডা. সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার।
শুক্রবার এসএসকেএম-এ যে টেস্ট টিউব বেবির জন্ম হয়েছে, তার নেপথ্যে মূল দায়ি♍ত্ব ছিল এই ডা. সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারেরই উপর। সেই দায়িত্ব তাঁকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্🍨যায়।