কয়েকদিন ধরেই সামনে চলে আসছিল যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের কীর্তিকলাপ। সদ্য এই ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এবং এক অধ্যাপিকাকে অপসারণ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আজ মামলা করলে ডিভিশন বেঞ্চ সরে যায়। এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায♚় সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়াদেরকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের কলেজের ত্রিসীমানায় না ঢোকার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন বিচা𓆏রপতি? এদিন এই কলেজের বিষয়ে একটি মামলা ছিল। তার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলেজের কীর্তিকলাপ শুনে বলেন, ‘মস্তানি করবেন না, দিনকাল খুব খারাপ। বাড়িতে থাকতে চান না অন্য কোথাও পাঠাব? আগামী ৬ মাস যেন কলেজের ত্রিসীমানায় না দেখি।’ এই ভাষাতেꦛই যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের প্রাক্তন পাঁচ ছাত্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি। যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপিকা নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক ছাত্র। তাঁকে আবার ৫ প্রাক্তন ছাত্র হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার জেরেই এমন মন্তব্য।
এদিকে আজ, সোমবার এই কথা শ🧸োনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং চারু মার্কেট থানাকে প্রাক্তন পাঁচ ছাত্রকে এজলাসে পেশের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের পর আজ কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করা হয় ওই পাঁচ ছাত্রকে। প্রাক্তন পড়ুয়াদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপা🎶ধ্যায়। এই ঘটনায় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে পাঁচ প্রাক্তন পড়ুয়া। তাঁদের জোর সতর্ক করে দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ‘সদুত্তর না পেলে ১ নভেম্বর থেকে মমতার নেতৃত♍্বে আন্দোলন’, হুঁশিয়ারি অভিষেকের
অন্যদিকে প্রাক্তন এই পাঁচ ছাত্র যোগেশচন্দ্র কলেজে যে দাদাগিরি দেখাত সেটা প্রকাশ্যে চলে আস🦄ে আজ কলকাতা হাইকোর্টে। তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘মস্তানি করবেন না, দিনকাল খুব খারাপ। আপনারা কি বাড়িতে থাকতে চান? নাকি অন্য কোথাও যেতে চান? যদি চান আমি অন্য কোথাও আপনাদের পাঠাতে পারি। আগামী ৬ মাস যেন কলেজের ত্রিসীমানায় না দেখি।’ তবে এই বিষয়টি পুলিশকে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।