এবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, শুক্রবার সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা শুনানি হয়। কিছুদিন আগে সোনামুখী থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ত🦩ার জেরে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই এই মামলার শুনানি চলাকালীন এই ভাষা ব্যবহারের জন্য ভর্ৎসনা করা হয় তাঁকে। যদিও পরে রক্ষাকবচ তাঁকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তখনই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। প্রয়োজনে তিনি এফআই𓄧আর খারিজের আবেদনও করতে পারেন।
এদিকে এই মামলা নিয়ে দীর্ঘ সওয়াল–জবাব চলে। আইসি একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার। তার উপর সরকারি কর্মচারী। তাঁকে এমন ভাষায় আক্রমণ নিন্দার যোগ্য বলে সকলে মনে করেন। এই সওয়াল–জবাবের সময় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যে ভাষায় একজন আইসিকে আক্রমণ করেছেন সেটা কুরুচিকর। এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে সৌমিত্র খাঁকে অন্য আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একইসঙ্গে෴ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রে♔খেই এই রায়।
ঠিক কী হয় সওয়াল–জবাব পর্বে? অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, সোনামুখী থানার আইসি’র বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাই তাঁর বিরু﷽দ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। এমনকী গ্রেফতারির আশঙ্কা রয়েছে। দু’টি মামলা করা হয়েছে সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে। এসআই এই মামলা করেছেন। সুতরাং এই মামলার তদন্ত পুলিশ করতে পারে না। পাল্টা রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে কোনও রক্ষাকবচ দিলে রাজ্য আপত্তি করবে না। কিন্তু কোনও ধারা প্রয়োগ নিꦰয়ে হস্তক্ষেপ করলে আমাদের আপত্তি আছে। কারণ একজন সাংসদ যে ভাষায় আইসি এবং তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করেছেন সেটা আপত্তিকর।’
আরও পড়ুন: ꧙পাতালপথে এবার পোড়া গন্ধে আতঙ্কিত যাত্রীরা, 🌟মেট্রো খালি হতেই ফিরল কারশেডে
তারপর বিচারপতি কী বললেন? সোনা🐽মুখীতে এই পুলিশ অফিসারকে তুই তোকারি করেন সাংসদ বলে অভিযোগ। আবার তাঁর পরিবারকে নিয়েও অশ্লীল মন্তব্য় করেন সৌমিত্র খাঁ। শুধু তাই নয়, বিষ্ণুপুরের সাংসদ আইসিকে কলকাতা হাইকোর্টে ডেকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এইসব শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এজলাসে বলেন, ‘যে ভাষা সাংসদ ব্যবহার করেছেন বলে পুলিশ লিখেছে সেটা আপত্তিকর। একজন সাংসদের মুখ থেকে এই ভাষা আশা করা যায় না। আগাম জামিন চান। আর এফআইআর খারিজের জন্য অন্য আদালতে যান। এই দুই মামলায় ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।’