মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের কাজ করতে গাছ কাটতে চায় তারা। কিন্তু তাতে প্রকৃতির মারাত্মক ক্ষতি হবে। কারণ ময়দান এলাকার গাছ কাটা মানে শহরের ফুসফুসে আঘাত করা। জোকা থেকে ধর্মতলা বা বিবাদী বাগের মেট্রো পথের সম্প্রসারণের কাজ বারবার থমকে গিয♔়েছিল। এখন অবশ্য নানা রুটে কাজ চলছে। কলকাতা মেট্রো রেলকে আরও সম্প্রসারিত করতে কিছু ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নির্দেশ নিতে হয়েছে। আর অনুমতি মেলার পরই কাজ শুরু করে দেয় কলকাতা মেট্রো। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই কাজ বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা হয়েছে।
এদিকে তারাতলা থেকে ধর্মতলা রুটের সম্প্রসারণ করতে গেলে ময়দান চত্বরের উপর দিয়ে লাইন নিয়ে যেতে হবে। কারণ পার্কস্ট্রিট, ভিক্টোরিয়ার মতো জায়গায় স্টেশন হবে। পাতাল পথ দিয়ে যাবে মেট্রো। ইতিমধ্যেই কোথায় স্টেশন হবে সেটার জায়গা চিহ্নিত করেছে🧔 রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। কিন্তু এই ম্যাপ অনুযায়ী মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ শেষ করতে হলে ময়দান চত্বরের একাধিক গাছ কেটে ফেলতে হবে। যা একেবারেই অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে গাছ কাটার উপর অন্তর💖্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল আদালত।
অন্যদিকে মোমিনপুর থেকে ধর্ম🐼তলা পর্যন্ত মেট্রো রুটের কাজ শেষ করতে ময়দান চত্বরের প্রায় ৭০০ গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের কথা🌟 জানতে পেরে আপত্তি জানায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। গাছ কাটা আটকাতে এই সংস্থা জনস্বার্থ মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে তাঁদের অভিযোগ, ময়দান চত্বরে গাছ কাটার অনুমতি নেই কলকাতা মেট্রো রেলের কাছে। এই কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতিও। বিচারপতি বলেন, ‘শহরের সব মানুষই স্বীকার করবেন যে, ময়দান এই শহরের ফুসফুস।’
আরও পড়ুন: ‘গোপনাঙ🔯্গে চলছে অত্যাচার,বিজেপি অফিস থেকে নিম্ন আদালতে ড্রাফটিং’🦩, বিস্ফোরক মমতা
আর কী বলেছেন বিচারপতি? এই গাছ কাটা হলে তাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে দাবি করে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এত পরিমাণ গাছ কাটার সিদ্ধান্তের কথা শুনে চমকে ওঠেন বিচারপতি। বিচারপতি সবপক্ষের কথা শুনে বলেন, ‘মে𝕴ট্রোর কাজের জন্য ময়দান চত্বরে এত গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বেশ উদ্বেগের। মেট্রোর কဣাজের জন্য আপাতত কোনও গাছ কাটতে পারবে না নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গাছ কাটার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।’ আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তখন সেদিনের শুনানিতেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে কলকাতা হাইকোর্ট।