কসবার স্কুলে ছাত্রের মৃত্যুতে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ। কেন সিসিটিভির পুরনো ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তবে যতদিনের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হয়েছে𒁏 সেগুলি ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে রাজ্যের কৌঁসুলি জানান। একইসঙ্গে শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় মুখ বন্ধ খামে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। উল্লেখ্য, আগেই হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডকে দেখাতে হবে। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে এদিন পেশ করে রাজ্য।
আরও পড়ুন: কসবায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু♍তে পুলিশ কমিশ✤নারকে তদন্তের ওপর নজরদারির নির্দেশ
শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি জানান, ১৪ দিনের ভিডিয়ো ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেগুলি ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার আগেকার ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কেন তা সংরক্ষণ করা হয়নি? তা নিয়ে বিচারপতি তা নিয়ে প্রশ্ন করলে রাজ্যের কৌঁসুলি জানান, স্কুলে যে সিসিটিভি রয়েছে সেগুলি বহু পুরনো। বর্তমানে সিসিটিভিগুলিতে এক মাসের ফুটেজ থাকে। তবে ওই সিসিটিভিগুলিতে এতদিܫনের ফুটেজ সংরক্ষণ থাকে 🐼না। সে ক্ষেত্রে স্কুল ছাত্রের মোবাইল থেকে তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ। যদিও মৃত ছাত্রের পরিবারের আইনজীবীর দাবি, ওই মোবাইলটি তার বাবার। তিনি পেশায় একজন দর্জি। তাই তিনি মোবাইল ফোনটি জমা করতে পারছেন না। তবে প্রয়োজনে তিনি ফোনটি পুলিশকে দেবেন।
অন্যদিকে, স্কুলের সিসিটিভি আধুনিক মানের বলেই দাবি করেন স্কুলের আইনজীবী। ওই সিসিটিভিতে ১৫ দিনের ফুটেজ ♉সংরক্ষণ করা যায় বলে তিনি জানান।সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রের মৃত্যুর পরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাতে সবচেয়ে তথ্য ছিল না। তাই পুরনো ছবি পুনরুদ্ধার করার প্রয়োজন রয়েছে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আগামী ২৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি। পরবর্তী সময়ে পুলিশকে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর কসবার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ৫ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার। এই🌞 ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিলেন ছাত্রের বাবা। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রজেক্ট জমা দিতে ন🥀া পারার কারণে শিক্ষকরা তাকে বকাবকি করেছিলেন। তাকে কান ধরিয়ে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন শিক্ষক। তিনি আরও অভিযোগ করেন তার ছেলেকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পরে পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মৃতের পরিবার। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার।