সাপের কামড়ের চিকিৎসায় ওরাল ট্যাবলেটের মাধ্যমে সাফল্য পেল রাজ্য। পূর্ব ভারতের মধ্যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে এই ট্যাবলেটের প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে। সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে এর মাধ্যমে। পার্কসার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা෴মূলকভাবে প্রয়োগ করা হয় এই ট্যাবলেট। গত ১০ মে আমতার এক যুবককে সাপে কামড়ালে এই ট্যাবলেটের মাধ্যমে যুবককে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এই ট্যাবলেটের নাম ভ্যারেসপ্লাডিব মিথাইল।
পূর্ব ভারতের মধ্যে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রথম এই ওষুধের ট্রায়াল হল। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, এই ট্যাবলেটের সঙ্গে ২০ ভায়েল অ্যান্টিভেনমে খুব ভালো কাজ হয়েছে। যখন এই ওষুধ ছিল না তখন ৩০ থেকে ৪০ ভায়েল অ্যান্টি স্নেক ভেনম দেওয়ার পরেও অনেক ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হত। তবে এই ট্যাবলেটের সঙ্গে তারও কম অ্যান্টিভেনম দেওয়া🥃র পরেও এখন ভালো কাজ হচ্ছে।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, অ্যান্টি স্নেক ভেনম তৈরি হয় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। তবে দক্ষিণ ভারতের সাপের প্রোটিন আর আমাদের রাজ্যের সাপের প্রোট🌞িনের মধ্যে পার্থক্য থাকায় অ্যান্টি স্নেক ভেনম বেশি মাত্রায় দিলেও অনেক ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যে তা কাজ করে না। তবে ট্যাবলেট দিয়ে অ্যান্টি স্নেক ভেনম দিলে তা অনেক বেশি কার্যকরী।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দেশের মোট ১১২ জনের ওপর জনের ওপর এই ওষুধের ট্রায়াল হবে। আমাদের রাজ্যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ২৫ জনের ওপর এই ট্রায়াল করা হবে। প্রসঙ্গত, সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় কৃষকদের। একটি সমীক্ষায় জানা গিয়ে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাপের কামড়ে সারাদেশে মৃত্যু হয়েছে ১২ লক্ষ মানুষেরꦗ। অর্থাৎ সাপের কামড়ে মৃত্যু অনেকটাই বেশি। এই ওষুধের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।