জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে ধৃত অমৃতাভ চৌধুরীকে জেরা করে একাধিক অসংগতি খুঁজে পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই ‘আসল’ অমৃতাভকে খুঁজে বের করতে ফের ডিএনএ প্রোফাইলিং করানোর পরিকল্পনা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, আটক অমৃতাভর সঠিক পরিচয় জানতে তাঁর সহপাঠী ও বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়াবাগানে অমৃতাভর পুরনো বাড়িতে যান গোয়েন্দারা। সেখানে পারিবারিক পুরনো অ্যালবাম থেকে বেশ কিছু পুরনো ছবি সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি থেকে অমৃতাভর পুরনো চেহারার সঙ্গে বর্তমান চেহারা খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। খতিয়ে দেখা হয়েছে অমৃতাভর স্কুল কলেজের নথিও। সিবিআই জানতে পেরেছে, অমৃতাভ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিলেন। কিন্তু জেরায় সেই তথ্য মনেই করতে পারেননি অমৃতাভ। তাঁর মতে, তাঁর স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রেই স্মৃতিভ্রংশের কথাই জানাচ্ছেন অমৃতাভ। সিবিআই অফিসারদের অমৃতাভ জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে হঠাৎ তিনি ফিরে এসেছেন। কিন্তু এতবছর তিনি কোথায় ছিলেন তা তিনি মনে করতে পারছেন না। অমৃতাভর এও দাবি, তিনিই আসল অমৃতাভ। তবে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা এখনই পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না। রেলের কাছে জমা দেওয়া ডিএনএ রিপোর্টের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে। কোথা থেকে সেই রিপোর্ট পেয়েছিল, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।এদিকে সিবিআই আধিকারিকরা ঠিক করেছেন, জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়ে রেলের কোন অফিসাররা জড়িত ছিলেন, সেই তালিকা রেলের থেকে চাওয়া হবে। সিবিআই মনে করছে, সেখানেই গলদ রয়েছে। রেলের থেকে সেই সব আধিকারিকদের তালিকা পেয়ে গেলে তাঁদের তলব করা হবে সিবিআইয়ের সদর দফতর নিজাম প্যালেসে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জ্ঞানশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়। এই ১৫০ জনের মধ্যে মৃতের তালিকায় অমৃতাভর নাম ছিল। অভিযোগ, জীবিত অমৃতাভকে মৃত হিসেবে দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা ও চাকরি নেওয়া হয়েছে। অমৃতাভর বোনকে চাকরি দেওয়া হয়।