সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে এখনও সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এই ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে আটদিন। এখনও অধরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান। আবার গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথඣে পুরুলিয়ায় আক্রান্ত উত্তরপ্রদেশের তিন সাধু। এই দুটো বিষয় সামনে নিয়ে এসে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তুলে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আজ, শনিবার বাংলায় এসে তৃণমূল কংগꦕ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়লেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এমন বাতাবরণ কেন তৈরি হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনুরাগ ঠাকুর।
এদিকে গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে পুরুলিয়ার কাশিপুর এলাকায় আক্রান্ত হন তিনজন সাধু। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাশিপুর থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ অনুরাগ ঠাকুর এই দুটো ঘটনাকে মিলিয়ে বলেন, ‘বা🅰ংলায় আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ পরিস্থিতি। সারা দেশে যা হয় না সেটা হয় বাংলায়। বাংলায় সাধুসন্তদের খুনের চেষ্টা হয়েছে। এটা লাগাতার তোষণের ফল। কিন্তু কেন এমন হিন্দুবিরোধী ভাবনাচিন্তা?’ এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। কারণ সেই হিন্দুত্ব লাইন নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য এবং তাও লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
অন্যদিকে আজ শনিবাꦜর কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিমানবন্দরে নেমেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য, ‘বাংলায় তোষণের রাজনীতি চলছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাম জন্মভূমির শিলান্যাসের সময় বাংলায় কার্ফুর মতো পরিস্থিꦇতি তৈরি করে দেওয়া হয়। হিন্দুদের উৎসবে সামিল হতে দেওয়া হয় না। এখন সাধুদের মারপিট করে, তাঁদের হত্যার চেষ্টা পর্যন্ত হয়েছে।’ পাল্টা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শশী পাঁজার দাবি, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ নিজের কাজ করছে। বিজেপি পুরুলিয়ার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।’ এই নিয়ে এখন সরগরম রাজনীতির ময়দান।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালক✃ে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল নবান্ন, ৮টি পয়েন্টে তৈরি হল সংঘাতের আবহ
এছাড়া সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। সেখানে স্থানীয়দের হাতে আক্রান্ত হন ইজডির অফিসাররা। সেই ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে দাবি করেছেন অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর মতে, ‘সাংসদ–বিধায়ক এবং কাউন্সিলর🐟দের উপর থেকে কি রাশ আলগা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি তাঁর নির্দেশেই গুন্ডারা তদন্তকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে? রাজ🍸্য সরকার চুপচাপ বসে দেখা ছাড়া কিছু করছে না। সংবাদমাধ্যম যখন বিষয়টি তুলে ধরে, তখন গিয়ে তদন্ত করছে।’ বিজেপির দাবি, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের আমলে যেভাবে পালঘরে সাধুদের পিটিয়ে মারা হয়েছিল, পুরুলিয়ার ঘটনা তারই ছায়া। তবে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার দাবি, ‘সাধুদের বিরুদ্ধে তিন তরুণীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল। জনতা তাঁদের ঘিরে ধরে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু’পক্ষই মামলা করেছে। পুলিশ নিজের কাজ করছে। আর বিজেপি পুরুলিয়ার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।’