বেআইনিভাবে কাটা হচ্ছিল নারকেল গাছ। সেই গাছ দড়ি দিয়ে টান করে ধরেছিল এলাকারই কচিকাচারা। কিন্তু, গাছ কাটতেই মাটিতে পড়ার পরেই ঘটে বিপত্তি। গাছের টানে দড়ি ধরে থাকা এক শিশু ছিটকে পড়েছিল কয়েকফুট দুরে। আর তারপরেই মৃত্যু হয়েছিল খুদে রোহন আলি মণ্ডলের। রবিবার ইকোপার্ক থানা এলাকার এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতারের পরে তাদের বারাসাত জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।এদিকে, একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রোহনের পরিবারে। খুদের বাবা-মা দুজনেই শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনায় রোহনের পরিবারের লোকেরা খুনের অভিযোগ তুলেছেন। জমির মালিক মহিদুল নস্কর, ওহিদ নস্কর এবং কাঠুরিয়া নিজামউদ্দিন মোল্লাই শিশুকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন। শোকে মর্মাহত রোহনের পরিবার দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার ইকোপার্ক থানা এলাকার হাতিয়াতে নারকেল গাছ কাটছিল তিনজন। গাছ কাটার কোনও অনুমতি তাদের কাছে ছিল না বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে অদক্ষ শ্রমিকদের নিয়ে নারকেল গাছটি কাটা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। গাছ কাটার জন্য দড়ি বাধা হয়েছিল। আর সেই দড়ি ধরে রাখার জন্য কি ব্যবহার করা হয়েছিল এলাকারই শিশুদের। কিন্তু, তাতে যে বিপদ লুকিয়ে রয়েছে তা কিছুতেই জানাছিলনা খুদেদের। নারকেল গাছ কাটার পরেই ১২ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে রোহন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটায় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।