ইদানিংকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে যাবে। একই কথা শোনা গিয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখেও। সুতরাং নতুন করে কোনও𝕴 ষড়যন্ত্র রচনা করা হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছিলেন। এবার আজ, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বড় আশঙ্কাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এই নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসেই বিজেপি দাঙ্গা বাঁধাতে পারে বলে তিনি আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন।
ঠিক কী বলꦇেছেন মুখ্যমন্ত্রী? সূত্রের খবর, আজ, বুধবার চেন্নাই যাওয়ার আগে ক্যাবিনেট বৈঠকে মন্ত্রীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আপনারা এলাকায় থাকবেন। আর জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় থাকতে বলুন। কারণ বিজেপি নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসে এই রাজ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর প🍸রিকল্পনা করেছে। সেটা করতে দেওয়া যাবে না। পুলিশকে আরও নাকা চেকিং বাড়াতে হবে। যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
কেন এমন আশঙ্কা করলেন মুখ্যমন্ত্রী? কিছুদিন আগে মোমিনপুরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তাতে ওখানে গিয়ে ꦗরাজনী𓆏তি করার ছক করেছিল বিজেপি। যার জন্য যেতে দেওয়া হয়নি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। আর প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করার জেরে হিংসা ছড়াতে পারেনি। তবে মোমিনপুরে যা ঘটেছিল তাকে রঙ চড়িয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবিরের আইটি সেল। তাতে বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাতে পারেননি। 🍷তাই এবার বড় ষড়যন্ত্র করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট বার্তা দেন, প্রশাসন তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। কিন্তু মন্ত্রিসভার সদস্য এবং জনপ্রতিনিধিদেরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। না হলে বাংল𒁏ার শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখা যাবে না। সরাসরি এলাকায় মাটি কামড়ে পড়ে থাকার বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যাতে সমন্বয় থাকে সে কথাও এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।