নির্বাচনী প্রচারের শেষে মহারাষ্ট্রে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে যে সোমবার রাতে নাগপুর জেলায় রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী)🌜 নেতা অনিল দেশমুখের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে। তার জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর কপাল থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় নাগপুরের একটি হাসপাতালে। আর সেই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন অনিল। বিজেপির গুﷺন্ডারা তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী শিবসেনা (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবির) সঞ্জয় রাউত তো প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন যে অনিলকে কি হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল?
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নাকি খুনের চক্রান্ত? প্রশ্ন রাউতের
রাউত বলেন, ‘নাগপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যা (বর্তমান) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শহর। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। খতিয়ে দেখতে হবে যে এটা রাজ꧒নৈতিক ষড়যন্ত্র নাকি তাঁকে খুনের চক্রান🐈্ত। কয়েকদিন আগেই উনি একটি বই নিয়ে এসেছিলেন এবং অনেক তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন। (আমি এই হামলার) তীব্র নিন্দা করছি।’
‘আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই’, তোপ কংগ্রেসের
অনিলের উপরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বর্ষীয়ান কংগ্রেস বালাসাহেব থোরাট বলেন, ♌'জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। যেটা আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেলা। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।' এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) নেতা প্রবীণ কুন্তে দাবি করেন, বিজেপি হারের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বিজেপি শীর্ষনেতাদের নির্দেশে বিজেপির গুন্ডারা সেই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) নেতা প্রবীণ।
রাজনৈতিক হিংসা? মুখে কুলুপ পুলিশের
যদিও রাজনৈতিক কারণে সেই হামলা ঘটেছে কিনা, তা নিয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করতে চায়নি পুলিশ। ঘটনার পরে নাগপুর গ্রামীণ ♔পুলিশের সুুপার হর্ষ পোদ্দার বলেছেন, 'আমিও ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ডেপুটি পুলিশ সুপার এবং ইনস্পেক্টর ঘটনাস্থলে আছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আমরা এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে ܫপারব না।'