এবার সরাসরি জোটের বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিলেন তিনি। একুশের শহিদ স্মরণের মঞ্চ থেকে খেলে দিলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তাস। আর তাতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। ভার্চুয়াল সভায় তখন জনপ্লাবন। নেটদুনিয়ায় সবার নজর বাংলার নেত্রী কি বলছেন সেদিকে। এই পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, ‘কোভিড মিটলে ব্রিগেডে বড় সভা করব। সমস্ত বিরোধী দল মিলে সেই অনুষ্ঠান করব। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাব। আসুন আমরা জোট বাঁধি, এগিয়ে যাই।’তৃণমূল সুপ্রিমোর এই কন্ঠস্বর সমস্ত রাজ্যই শুনতে পেয়েছে। নয়াদিল্লির মাটি তখন কাঁপছে নেত্রীর হুঙ্কারে। সেখানের কনস্টিটিউশনাল ক্লাবে তখন উপস্থিত পি চিদম্বরম থেকে শরদ পাওয়ার প্রত্যেকেই উপস্থিত। সুতরাং মমতার ডাকেরই অপেক্ষা ছিল। যা আজকের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে দিয়ে দিলেন জননেত্রী। এখন শুধু বৈঠকে বসে রণনীতি তৈরির পরিকল্পনা। তিনি জোর আওয়াজ তুলে বলেন, ‘সবাইকে বলব একসঙ্গে আসুন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করুন। আমরা হারব না। আমরা ভয় পাব না। কেউ মাথা নত করব না। অনেক গদ্দার আছে যাঁরা বড় বড় কথা বলছে। মানুষ গদ্দারদের জবাব দেবে। বিজেপিতে গদ্দারদের জন্ম হয়। ওরা সবার কণ্ঠরোধ করতে চায়। আমরা চুপ করব না।’তারপর নরেন্দ্র মোদীর গড় গুজরাত নিয়ে তোলেন নানা কথা। গুজরাতেও শোনা যাচ্ছে মমতার কন্ঠস্বর। কারণ সেখানেও লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমাদের কন্যাশ্রী রাষ্ট্রপুঞ্জে পুরস্কৃত হয়েছে। কৃষকদের আমরা ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিই আমরা। জমির মিউটেশন আমরা করে দিই। গুজরাত নয়, বাংলাই দেশের মডেল। জ্বালানীর দাম বাড়ল কেন? প্রতিদিন সময় পেলে আধ ঘণ্টা মিছিল করুন। পেগাসাস নরেন্দ্র মোদীর নাভিশ্বাস।’এরপরই তিনি রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের মানুষের প্রতি বার্তা দেন। গোটা ভারতবর্ষ কেমন হওয়া উচিত তার একটা রূপরেখা এঁকে দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারত উন্নয়ন চায়। ভারত শক্ত অর্থনীতি চায়। ভারত কৃষক, শিশু, মহিলা, দরিদ্রদের উন্নয়ন চায়। বিজেপি কিছু করছে না। আপনি কটা রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন দেন প্রধানমন্ত্রী? আমাদের জোট ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। বেকারত্ব বাড়ছে। অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। কৃষকরা কাঁদছে। কেন তিনটে কৃষি আইন এনেছেন? বিজেপি মানবাধিকার জানে না। বিজেপির মগজে মরুভূমি। গোলি, গুলি আর গালির পলিটিক্স চলছে।’