বেলেঘাটায় আবাসনে মায়ের হাতে শিশুকন্যা খুনের ঘটনায় ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিল শিয়ালদহ নগর ও দায়রা আদালত। সোমবার তদন্তকারীদের আবেদনের ভিত্তিতে এই অনুমতি দিয়ে꧋ছেন বিচারক। পুলিশের অনুমান, নিহত শিশুট꧋ির বাবা অভিযুক্ত সন্ধ্যা জৈনর স্বামী সুদর্শন জৈন নন। তাই তাকে খুন করেছেন মহিলা।
গত ২৬ জানুয়ারি কলকাতার বেলেঘাটার একটি আবাসন থেকে শিশ༒ুচুরির অভিযোগ মেলে। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে শিশুটিকে খুন করেছে তার মা। আবাসনেরই ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয় শিশুর দেহ। কিন🎃্তু কেন নিষ্পাপ ২ মাসের শিশুকন্যাকে কেন খুন করতে যাবেন তাঁর মা। প্রশ্নের মুখে অসহায় পুলিশকর্তারা। অপরাধ প্রবণতার কোনও তত্ত্বকে কাজে লাগিয়েই খুনের কারণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন না তাঁরা।
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সন্ধ্যা জৈন জানিয়েছেন, অবসাদ থেকেই 🍎সন্তানকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু মহিলার আগেও এক সন্তান রয়েছে। সেক্ষেত্রে অবসাদের জেরে খুনের তত্ত্বে চিতিৎসা বিজ্ঞান সায় দেয় না। পুলিশের দাবি, পরকীয়া থাকে মেয়েকে খুন করে থাকতে পারেন সন্ধ্যা। তাই ডিএনএ পরীক্ষার উদ্🃏যোগ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুদর্শনবাবুর সঙ্গে বিয়ের আগে হরিয়ানার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক 🎐ছিল সন্ধ্যা জৈনর। বিয়ের পরেও গত ১০ বছর ধরে যোগাযোগ ছিল প্রেমিকের সঙ্গে। সেই প্রেমিকের প্রꦇরোচনাতেই খুন কি না জানতে উঠে – পড়ে লেগেছে পুলিশ। পুলিশের আরও সন্দেহ সন্ধ্যাদেবীর কন্যাসন্তানের বাবা তাঁর স্বামী নন। সেটা নিশ্চিত করতেই ডিএনএ পরীক্ষা করাতে চায় তারা।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির শরীꦍরের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে সুদর্শনবাবুর ডিএনএ। মেলানো হবে সন্ধ্যাদেবীর DNA-ও। সেজন্য এনআরএস হাসপাতালে দম্পতির রক্তের নমুন🅰া সংগ্রহ করা হবে।
কল⛦কাতা তো বটেই, রাজ্য পেরিয়ে গোটা দেশে এমন খুনের আর কোনও উদাহরণ খুঁজে পাচ্ছেন না গোয়েন্দারা। তাই এই খুনের কারণ জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তাদের কাছে। গোয়েন্দাদের দাবি, খুনের কারণ সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা গেলে পরবর্তীতে তা তদন্তে সহযোগী হবে।