ইতিমধ্ꦕযে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। সেই ট্রায়ালের ফলাফল আগামী বছর নভেম্বরে আসতে পারে। এমনটাই জানালেন নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত।
তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি হলেও অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল আসতে নয়া বছরের মে হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘মূল্যায়নের জন্য এক বছর সময় লাগবে।আগামী ছ'মাসের মধ্যে হয়তো অন্তর্বর্তীকালীন মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে। যদি পর্যাপ্ত মাত্রায় প্রতিরক্ষামূলক কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তা নীতি নির্ধারকদের দেওয়﷽া হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’
বুধবার বেলেঘাটার নাইসেডে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভা💫বে সেই সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। কলকাতায় প্রথম সেই সম্ভাব্য টিকা নেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভাবে যে ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।
নাইসেডের অধিকর্তা বলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ের ট্রা⛦য়ালে আমরা প্রাথমিকভাবে টিকার প্রতিরক্ষামূলক কার্যকারিতা পর♎ীক্ষা করব। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ইতিমধ্যে সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতা খতিয়ে দেখা হয়েছে।’
ইতিমধ্যে ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ভারতে ২৬,০০০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। ভারতে কোভিড ১৯-এর টিকার জন্য যে ট্রায়াল চালানো হয়েছে, তার মধ্যে এটাই সর্ববৃহৎ ক্লিনিকাল ট্রায়াল। কোভিড ১৯-র টিকার প্রথম তৃতীয় পর্যায়ের কার্যকারিতার পরীক্ষা এবং ভারতে এখনඣও পর্যন্ত সবথেকে বড় তৃতীয় পর্যায়ের কার্যকারিতার পরীক্ষা এটি।
আপাতত কলকাতায় ১,০০০ জনের মতো স্বেচ্ছাসেবকের দেহে সম্ভাব্য টিকা প্রয়োগ করার চেষ্টা চলছে। সেজন্য ইতিমধ্যে ৩৫০ জন আবেদন করেছেন। নাইসেডের অধিকর্তা বলেন, ‘ইন্টারভিউ এবং পরীক্ষার জন্য আবেদনকারীদের এক-এক করে ডাকা হবে। তাঁরা যদি মাপকাঠি উতরে যান, তাহলে স্বেচ্ছাবেসক হতে পারবেন। আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১,০০০ জন স্বেচ্ছাব🔯েসকের ট্রায়াল সম্পূর্𝐆ণ হয়ে যাবে।'