রাজ্যে আবার করোনাভাইরাস থাবা বসাতে শুরু করেছে। কলকাতার তিন হাসপাতালে ৩ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে দু’জন কলকাতার। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বিহারের ৬ মাসের এক শিশু। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে আক্রান্ত বিহারের ৬ মাসের শিশুকে। বাকি দু’জন কলকাতার দুই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্স🐻িংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হচ্ছে কল্যাণীর ইন্সটিটিউ📖ট অফ ভাইরোলজিতে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মধ্যে শিশুটি ছাড়া বাকি দু’জন পুরুষ। একজনের রিপোর্ট আজ, বৃহস্পতিবার এসেছে। অন্যজনের রিপোর্ট আগেই এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাജইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৫৮ জন। দু’সপ্তাহে ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র কেরলেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং আবার আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে। এখন আবার মাস্ক পরার দিন ফিরে আসছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এখনই প্যানিক করার দরকার নেই। বাংলায় এটা এখনও নিয়ন্ত্রণেই আছে। শুধু ভিড়ে না গেলেই মঙ্গল।
অন্যদিকে গত দু’সপ্তাহে ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। গোটা দেশে এই পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে। দেশে হঠাৎই বৃদ্ধি পেয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। বেশ কয়েকটি রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যไমন্ত্রক সব রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করেছে। তাই যেন ফিরে এসেছে পুরনো সেই আতঙꦛ্কের স্মৃতি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৩০০ জনই কেরলের বাসিন্দা। প্রথমবার যখন করোনাভাইরাস দেশে ছেয়ে গিয়েছিল তখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছিল কেরলের। তবে তারা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করেও ফেলেছিল। এবার আবার বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ‘আরএসএস জাতিগত জনগণনার বিরোধী নয়’, একেবারেও ঘুরে গিয়ে মন্তব্য সংঘের নဣেতার
এছ♔াড়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখন সক্রিয় করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৯ জন। গতকাল, বুღধবার দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ৬১৪ জন। মে মাস থেকে দেশে একদিনে এত মানুষজন সংক্রামিত হননি। করোনাভাইরাসের নতুন উপরূপ জেএন.১–এর জেরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নতুন এই উপরূপ যে খুব মারাত্মক সেটার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ এখনও মেলেনি।