বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় ম্𒉰যাজিক দেখালেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডে জিতল সিপিআইএম। কলকাতা পুরসভা নির্বাচন এই দুই ওয়ার্ডে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৬৪ এবং ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। হাসতে হাসতে জিতেছিল। সেখানে এবার দেখা গꦦেল, ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের বাবুল সুপ্রিয়কে ছাপিয়ে জয় পেয়েছেন সিপিআইএমের সায়রা শাহ হালিম। সুতরাং বাবুলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলেন সায়রা।
প্রথমবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি꧒ তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সরাসরি বাকিদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। এখানে মজার সমীকরণ দাঁড়িয়েছে, ৫১.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে শীর্ষে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্🌱বন্দ্বী সিপিআইএমের সায়রা হালিম পেয়েছেন ৩৩.৮৯ শতাংশ ভোট। আর বিজেপি মাত্র ৪.৬৫ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এমনকী কংগ্রেসের অর্ধেক ভোট পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এখানে পেয়েছে ৭.৮১ শতাংশ ভোট। যদিও এখনও গণনা শেষ হয়নি। ফলাফল প্রকাশ হয়নি। এখন পর্যন্ত এটাই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ফলাফল কোথায় দাঁড়িয়ে? বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬ রাউন্ড গণনা হয়ে গিয়েছে। সেখানে বাবুল সুপ্রিয় ৪﷽৩ হাজার ২২০ ভোট পেয়েছেন। সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের প্রাপ্ত ভোট ২৯ হাজার ১৩৬। আর বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৭১টি ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৪ হাজার ꧂৯৬৪টি ভোট।
এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলার মানুষ। আগামী দিনে এটুকু ভোটও কলকাতা বা সংলগ্ন শহরতলি থেকে পাবে না মোদী–শাহের দল।’ একুশের নির্বাচনে বাংলায় বাম–কংগ্রেস জোট ছিল। তখন বালিগঞ্জে সিপিআইএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম ৫.৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন♕। তুলনায় এবার ৬ গুণ ভোট বাড়িয়েছে সিপিআইএম। কংগ্রেসও ৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ দুই দলের ভোট যোগ করলে ৪০ শতাংশের বেশি দ꧙াঁড়ায়।