𝐆 এবার প্রজন্ম বদলের পথে এগোচ্ছে সিপিএম। বৃদ্ধতন্ত্রকে বিদায় জানিয়ে সংগঠনে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আনার মতো একাধিক পদক্ষেপ আগে নিয়েছিল লালপার্টির কর্তারা। এবার এরিয়া কমিটির নেতৃত্বে বয়সসীমা বেঁধে দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা। এমনকী নির্দেশিকা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে। যা নিয়ে দলের অন্দরে মতভেদ থাকলেও আপাতত সেটাই সামনে আসছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অনুপস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ওই নির্দেশিকায় সই করেছেন। তারপর প্রত্যেক জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ভোটাভুটি হলে ব্যালট পেপারে প্রত্যেকের নামের পাশে তাঁদের এখনকার বয়স উল্লেখ করে দিতে হবে।
♏এই গোটা বিষয়টিকে ‘নজিরবিহীন’ বলছে আলিমুদ্দিনের কমরেডদের একাংশ। তাই ভোটাভুটির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। মহম্মদ সেলিম এখন বিদেশে। আজ রাতে ফেরার কথা। তার মধ্যেই এমন নির্দেশিকা জারি হয়ে গিয়েছে। ওই নির্দেশিকায় মূলত এরিয়া স্তরের সম্মেলন বিষয়ক নিয়মাবলি লেখা আছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কমিটির সদস্যদের গড় বয়স কমানো, মহিলা প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত জায়গা দেওয়া এবং গুরুত্ব দিতে হবে। যাঁরা কমিটির সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন, তাঁদের ব্যালট পেপারে নিজেদের নামের পাশে বয়স লিখতে হবে। এরিয়া কমিটি গঠনের প্রাথমিক খসড়াও করে দেওয়া হয়েছে। দু’পাতার নির্দেশিকার প্রথম পাতাতেই ‘বয়স সারণী’ করে দিয়েছে সিপিএম।
আরও পড়ুন: ‘নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি তুলেছে’, জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নতুন সংগঠনের অভিযোগ
এরিয়া কমিটি যদি ১৩ জনের হয় সেক্ষেত্রে তার ৪০ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচজনের বয়স হতে হবে ৫০ বছরের কম। ওই পাঁচজন সদস্যের মধ্যে একজন ৩১ বছরের কম, একজন ৪০ বছরের কম এবং তিনজনকে ৫০ বছরের কম হতে হবে। ওই কমিটিতে দু’জন মহিলাকে জায়গা দিতে হবে। এই নির্দেশিকা মেনে এরিয়া কমিটি গঠন করলে এখনই সংগঠনে থাকা অনেকে বাদ পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।🦩 আগে সম্মেলন বিষয়ক পার্টি চিঠিতে সিপিএম উল্লেখ করেছিল, যতজনের কমিটি হবে, তত সংখ্যাতেই ভোট দিতে হবে। নচেৎ ওই ব্যালট বাতিল হবে। জেলা কমিটির যে নেতৃত্ব ভোটগণনা করার দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের গণনা করতে হবে বয়সের সীমা মেনেই। এইসব করতে গিয়ে প্রবীণরা সাইড হচ্ছেন বলেই অনেকের মত।
এছাড়া এই বয়সবিধি কার্যকর করা নিয়ে অনেকে আবার মুখ খুলছেন না। তাঁরা সময় এলে বোমা ফাটাবেন বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ফিরে এলে তাঁর প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটাও দেখার বিষয়। এই গোটা নির্দেশিকা নিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য কমিটির নেতা বলেন💦, ‘এসব করার ফলে অনেক দক্ষ নেতৃত্বকে কমিটির বাইরে চলে যেতে হবে। শুধুমাত্র বয়সের মাপকাঠিতে অনভিজ্ঞ, বা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় কপচানো লোক কমিটিতে চলে আসবেন। সেটা পার্টির জন্য ভাল হবে বলে মনে হয় না।’