সুশান্ত ঘোষকে সাসপেন্ড করল সিপিএম। শুক্রবার দলের ভার্চুয়াল রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সিপিএমের তরফে। সঙ্গে দলের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্যামল মাইতিকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছে দল। শুক্রবার সিপিএমের ভার্চুয়াল রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়। তাতে হাজির ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। সেখানেই সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। এর পর সুশান্তবাবুকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত হয়। অভিযোগ, তাঁর লেখা বইতে দলবিরোধী কথাবার্তা লিখেছেন তিনি। বাম জমানায় পশ্চিম মেদিনীপুরে সুশান্ত ঘোষের নামে বাঘে – গরুতে একঘাটে জল খেত। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে তাঁকে জেলে ভরা হয়। দীর্ঘ কারাবাসের পর মুক্তি পান তিনি। কিন্তু তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এর পর নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লেখা শুরু করেন সুশান্তবাবু। ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’ শীর্ষক বইতে দলীয় নেতৃত্বের একাধিক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন তিনি। সমালোচনা করেন দলের একাধিক সিদ্ধান্তের। এই নিয়ে একটি ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা। এর পরই সুশান্তবাবুর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তদন্ত কমিটি বসায় সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম ও আভাস রায়চৌধুরীর ওপর বর্তায় তদন্তের দায়িত্ব। সেই তদন্তের রিপোর্ট শুক্রবার পেশ হয় রাজ্য কমিটির বৈঠকে। তবে সুশান্তবাবু জানিয়েছেন, সাসপেন্ডের ব্যাপারে তাঁকে কিছু জানায়নি সিপিএম। এছাড়া এদিনের সভায় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।