ভবানীপুরে জামানত বাঁচল না বাম প্রার্থীর। তৃণমূল, বিজেপির সঙ্গে লড়াই করা তো দূর অস্ত, বামেদের প্রাপ্ত ভোট এতটাই তলানিতে এসে ঠেকেছে যে তা হিসাবের মধ্যেই আসছে না। এত কম ভোট পাওয়ার কথা বাম নেতাদের কাছেও প্রত্যাশী ছিল না। ভবানীপুরে সিপিএম যে জিতবে না, তা আগে থেকেই জানত আলিমুদ্দিদ স্ট্রিট। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে নেমে এতটা যে খারাপ ফল হবে, তা হয়ত আন্দাজ করতে পারেননি বাম নেতারা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভবানীপুরে সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ভোট পেয়েছেন ৪,২২৬টি ভোট। যেখানে এই আসনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৮৫ হাজার ২৬৩টি ভোট। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪২৮টি ভোট। পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, ভোটের ময়দানে নেমে লড়াই দেওয়ার মতো কোনও জায়গাতেই ছিল না বামেরা। সামান্য যদি বামেদের সঙ্গে লড়াই হয়েও থাকে, তা নোটার সঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াইটা বামেরাই জিতেছে। বামেরা যেখানে পেয়েছে ৪,২২৬টি ভোট, সেখানে নোটায় ভোট পড়েছে ১,৪৫৩টি ভোট। শুধু ভবানীপুরেই নয়, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জেও এক অবস্থা। জঙ্গিপুরে আরএসপি প্রার্থী পেয়েছেন ৪.৫৪ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে সামসেরগঞ্জে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ৩.২৭ শতাংশ ভোট। এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা রবীন দেব জানান, কয়েক মাস আগেই বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয় হয়েছে। এত অল্প সময়ে বিপর্যয় সামলানো যায় না। তৃণমূলের ভ্রান্ত নীতির বিরুদ্ধেই এই লড়াই। সেটা বোঝাতেই প্রার্থী দিয়েছিলাম। বামেদের এই শোচনীয় ফলাফল প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের অবশ্য বক্তব্য, ‘সিপিএম এত খারাপ ফল করবে ভাবিনি। আমরা প্রার্থী দিলে এর থেকে হয়ত বেশি ভোট পেতাম।’