বিজেপি–র নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় দলের যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য প্রিয়াংশু পান্ডের দেহরক্ষীর পাগড়ি খুলে পড়ে 🅠যায়। অভিযোগ ওঠে জোর করে পাগড়ি টেনে খুলে দিয়েছে পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ এ নিয়ে সাফাই দিলেও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতপ্রাপ্ত শিখ সম্প্রদায় এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে রবিবার রাজ্যে আসে দিল্লির শিখ প্রতিনিধি দল। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখ🐬ড়ের সঙ্গে দেখা করলেন দিল্লি শিখ গুরুদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মনজিন্দর সিং সিরসা।
এদিন রাজ্যপালের হাতে দুই পাতার একটি চিঠি দিয়েছে শিখ সম্প্রদায়ের ওই শীর্ষ ধর্মীয় সংগঠন। বলবিন্দর সিংয়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেই প্রসঙ্গে তুলে এদিন তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে কথাও বলেন🌃। তাঁদের মূল দাবি, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। দোষী পুলিশদের শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি তাঁরা বলেন, তাঁদের মূল লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের সঙ্গে নয়। তাঁদের দাবি, পুলিশের শীর্ষ কর্তা বা মুখ্যমন্ত্রীর তরফে যাতে যাঁরা মূল অভিযুক্ত তাঁদের আড়াল না করা হয়। মনজিন্দর সিং সিরসা এদিন আবেদন করে বলেন, ‘সরকার চোখ তুলে তাকাক।’ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্তের জন্য যা করণীয় তা করবেন বলে এদিন ওই শিখ সংগঠনকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
রবিবারই এ ঘটনা নিয়ে টুইট করে বিবৃতি দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। তার নিন্দা জানিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের ওই শীর্ষ ধর্মীয় সংগঠনের কর্তা মনজিন্দর সিং সিরসা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর এই ঘটনার সমর্থন টুইট করেছে, এটা মানা যায় না। তারা আবার বলছে যা করা হয়েছে আইনত করা হয়েছে। মানে, বলবিন্দরের পাগড়ি টেনে খোলা, ওঁর চুল টেনে–হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া— সব আইনত? আমি এত বড় নই যে আমি কাউকে ক্ষমা চাইতে বলব, এটা মানুষের বিবেকের ওপর নির্ভর করে। তবে আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করতে চাই, যাতে এই ঘটনার সঠিকไ তদন্ত করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য লড়তে জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছিলেন বলবিন্দর। ওঁর সঙ্গে যা ঘটল তা খুবই নিন্দনীয়। আমরা এর আগেও সরকার এবং পুলিশের কাছে বলবিন্দরের মুক্তি চেয়ে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু তিনি এখনও জেলে। পাগড়ি খুলে নেওয়ার মতো🐽 যে জঘন্য অপরাধ পুলিশকর্মীরা করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে বলবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করা হল। যাঁরা আসল অভিযুক্ত, যাঁরা আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে তাঁেদর বিরুদ্ধে ২৯৫ ধারায় মামলা হওয়া উচিত।’