রাত পোহালেই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়ꦕা হাউজের সামনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভা। যা আয়োজন করেছে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। বাংলায় বুধবার পা রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে উপর্যুপরি দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শুরু করে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সাফাই দেবেন তিনি। এই সভার আয়োজন করেছেন শুভেন্দু–সুকান্তরা। তাই বুধবারের সভা থেকে কী ধেয়ে আসবে সেটা এখনই স্পষ্ট। তবে এই সভার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার কালো পোশাক পরে বিধানসভায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়করা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতেই কালো পোশাক পরার সিদ্ধান্ত বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর।
এদিকে বিধানসভায় এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস 🎐ঠিক করেছে, তাঁদের বিধায়করা সবাই আগামীকাল বুধবার কালো পোশাক পরে বিধানসভায় প্রবেশ করবেন। তবে এখন বিধানসভায় তিন দিনের ধরꦑনা চলছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই সভা সফল করতে প্রচার করেছেন। এবার তারই পাল্টা হিসাবে কালো পোশাক পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা। তাতে বেশ বিপাকে পড়েছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। তাঁরা ভাবতে পারেননি এমন পাল্টা ঘটনা ঘটবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের কথায়, শাহের সামনে কালো পোশাক পরে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিষয়টিই তুলে ধরবেন।
অন্যদিকে তৃণমূল🧜ের পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্ত, বিধানসভার অধিবেশনꦜ শেষে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধরনা দেবেন। বুধবার অমিত শাহের সভার দিন কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ দেখাবেন। এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘ধর্মতলার সভার জন্য বিজেপি বিধায়করা বুধবার কেউ বিধানসভায় থাকবেন না। বিরোধীশূন্য থাকবে বিধানসভা। এটা একপ্রকার প্রতীকী যে তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের কালো রঙ দেখাবে। কালো পোশাক পরে কাকে বিক্ষোভ দেখাবেন? কালো পোশাক পরে কি নিজেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবেন?’
আরও পড়ুন: শ্যামবাজারে স্কুলের সামনে রক্তাক্ত দে🔯হ উদ্ধার ব্যক্তির, মুখ থ্যাতলানো দেহ দেখে আ👍লোড়ন
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস এখন বিজেপির কৌশল আন্দাজ করতে পেরে বঞ্চনার বিষয়টি তুলে ধরতে চাইছে। কারণ, এটা বাস্তব যে গ্রাম স্তরে একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ বন্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়াদিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানে সমস্যার সমাধান না হলে রাজধানীর বুকে শুরু হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলন। সুতরাং বুধবার এবং তারপর গোটা ডিসেম্বর জুড়ে রাজ্য– রাজনীতি তোলপাড় হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতি🐻ক বিশেষজ্ঞরা।