ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি প্রায়ই ছুটি পেলেই ছুটে চলে যান দিঘার সমুদ্রসৈকতে। এই যাতায়াত করার জন্য বিস্তর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু রাতে ট্রেনে করে সকালে দিঘায় নামার ব্যবস্থা এতদিন ছিল না। এবার সেই সুযোগ নিয়ে আসতে চলেছে দক্ষিণ–পূর্ব রেল। দিঘায় যাওয়ার ট্রেন শুধুমাত্র ভোরবেলা কিংবা সকালেই ছিল এতদিন। আর তাতে টিকিট পাওয়া নিয়েও𓆉 বিস্তর সমস্যায় পড়তে হতো। কারণ রাতে কোনও ট্রেন ছিল না। কিন্তু এবার সেই আশা মিটতে🔯 চলেছে।
এদিকে এখন পরীক্ষামূলকভাবে এই রাতের ট্রেনে দিঘা সফর পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। সেটা যদি সফল হয় তাহলে সারা ব♛ছরের জন্য এই পরিষেবা বাস্তবায়িত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। হাতে আর দু’দিন বাকি। তারপরই দেশজুড়ে পালিত হবে ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস। এই উপলক্ষ্যে আজ, শনিবার এবং আগামীকাল রবিবার সাঁতরাগাছি থেকে দিঘা যাওয়ার বিশেষ ট্রেন ছাড়বে। রাতেই এই ট্রেন ছাড়বে। আর ভোরে পর্যটরদের পৌঁছে দেবে সমুদ্রসৈকতে। ১৫ তারিখ স্বাধীনতা দিবসের জন্য ছুটি থাকছে। আর ১২ এবং ১৩ তারিখ শনিবার এবং রবিবার ছুটিই থাকে। এই ছুটির সঙ্গে সোমবার ছুটি নিয়ে নিলে লম্বা চার দিনের ছুটি কাটানো যাবে দিঘায়।
কখন রাতের ট্রেন ছাড়বে? অন্যদিকে শনিবার এবং রবিবার সাঁতরাগাছি থেকে দিঘার রাতের ট্রেন ছাড়বে ১১টা ৪৫ মিনিটে। এই ট্রেন ভোর ৩টে নাগাদ সৈকতনগরী দিঘায় পৌঁছে দেবে পর্যটকদের। সুতরাং গোটা দিনটা সময় পাওয়া যাবে ছুটি কাটানোর। আর ফেরার সময় রবিবার এবং সোমবার সকাল ৮টায় ট্রেন ধরতে হবে। যা সাঁতরাগাছি পৌঁছে দেবে যাত্রীদের ১২টা ১০ মিনিটে। এই রাতের ট্রেন সফরের জন্য যাত্রীরা পাবেন ১২টি সাধারণ স্লিপার এবং চারটি থ্রি–টায়ার কামরা। এমন সময়কে বেছে নেওয়ার জন্য দিঘায় যাওয়ার ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও বেশি থাকে। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তাই বড় সিদ🗹্ধান্ত নি♒ল দক্ষিণ–পূর্ব রেল।
আরও পড়ুন: স্বপ্নদ্বীপের মৃত্⛦যুতে এবার ৩০২ ধারা যুক্ত করল পুলিশ, তাহলে কি খুনই করা হয়েছে?
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ট্রেন শুধুমাত্র রাতে দিঘার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। রাতের সফরে মিলবে উলুবেড়িয়া, বাগনান, মেচেদা, তমলুক, দেশপ্রাꦺণ, কাঁথি স্টেশন। এগুলিতে স্টপেজ দেবে রাতের দিঘার ট্রেন। আর তার পরেই দিঘায় থামবে। এমন একসঙ্গে ছুটি পেলে দিঘায় যাওয়ার ট্রেনের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে উঠে যায়। আর এই ট্রেন চালু হওয়ায় পর্যটকদের অনেক উপকার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দিঘায় সস্তায় ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং রথ দেখা কলা বেচা দুই করতে পারবেন পর্যটকরা। এখন দেখার কতটা ভিড় টেনে আয় বাড়াতে পারে দক্ষিণ–পূর্ব রেল।