বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জেতা আসন থেকে সরিয়ে অন্য আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল, কিন্তু সেই আসনে তিনি হেরে যান। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরপরই তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে ফল প্রকাশের দু’দিন পরে দিলীপ ঘোষ ভোটের ফল ಞনিয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজনীতি🦋তে সবই সম্ভব। তবে কী কারণে হয়েছে, কে, কী করেছে, সবই পর্যালোচনা করে বোঝা যাবে। রাজ্য নেতৃত্ব কেন্দ্র নেতৃত্বের সঙ্গে বসে আলোচনা করবে, এখন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।" তাঁর এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, তিনি এই হার নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ তদন্তের উপর নির্ভর করছেন।
আরও পড়ুন। শুরু🌺 ✃NDA-র সংসদীয় দলের বৈঠক, কারও চাই রেল, কারও বিশেষ প্যাকেজ, BJP-র শরিকদের কার কী দাবি?
দিলীপ ঘোষের এই হারের পেছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি কিছু না বললেও, তাঁর বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, তিনি বি🍌ষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন।
এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ হঠাৎ করে অটল বিহারী বাজপেয়ীর একটি উক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। উক্তিটি ছিল পুরনো কর্মীদের সম্বন্ধে, যেখানে বাজপেয়ী বলেছেন, “নতুনরা গেলে যাক, কিন্তু𝐆 পুরনো একজন কর্মীও যেন দল থেকে না যায়।" এই পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা আমার বক্তব্য নয়, অটল বিহারী বাজপেয়ীর বক্তব্য। এখন দল এরকম সংকট অবস্থায় রয়েছে, সময় উপযোগী বলে মনে হচ্ছে তাই পোস্ট করেছি। সংকটকালে পুরনো জায়গায় ফিরতে হয়, তাই অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা মনে করিয়েছে। ওল্ড ইজ গোল্ড।"
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, তিনি দলের অভ্যন্তরীণ সংকট এবং পুরনো কর্মীদের গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত করছেন। বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতিতে, নতুন এবং পুরনো কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নজরে এসেছে, সেখানে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মতে, দলের স🍸ংকটকালে পুরনো কর্মীদের অভিজ্ঞতা এবং সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেপির এই প্রাক্তন রাজ্🔥য সভাপতির বক্তব্য দলের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ এবং পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে। তাঁর মতে, ফলাফল পর্যালোচনা এবং কেন্দ্র ও রাজ্ꩵয নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব।
দলের অভ্যন্তরীণ সংকট এবং তার সমাধানের জন্য পুরনো কর্মীদের ভূমিকার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়♕েছেন তিনি। দল ভোটের খারাপ ফলের তদন্তানুসন্ধানের পর কী সিদ্ধান্ত নেই নজর থাকবে সেই দিকেই।