বাড়িওয়ালার হাতে ভাড়াটে খুন। ঘটনাটি শনিবার রাতে ট্যাংরা থানার ৩৮ ডি সি দে রোডের। এখানেই প্রতিবেশীর উপর হামলার প্রতিবাদ করে এক যুবক। তার জেরে বাড়িওয়ালার হাতে খুন হলেন যুবক। এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।অশোক দাস ও তাঁর ছেলে অনিল দাস–সহ আরও পাঁচজন পরিবারের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরাই মনোজ রাম নামের যুবককে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেছিলেন। যার জেরে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। মনোজের মা আরতি রামের অভিযোগ, বাড়িওয়ালার ছেলে ও তাঁরই পরিবারের সদস্য গুড়িয়া নামে এক মহিলাই খুন করেছে মনোজকে। পুরনো গোলমালের জেরে বাড়িওয়ালার ছেলে অপর এক ভাড়াটে সুনীল দাসকে আচমকা মারধর শুরু করে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন মনোজ। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তখনই সুনীলকে ছেড়ে ওই যুবকের উপর হামলা করা হয়। অভিযোগ, ইট দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মনোজের পেটে আঘাত করেন অভিযুক্ত। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে লুটিয়ে পড়েন মনোজ।পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বাড়ির মালিক অনিল, ভাড়াটে সুনীলকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এই ঘটনার পর তাঁর কাকার ছেলে মনোজ রাম প্রতিবাদ করলে অনিল কাঁচি দিয়ে পেটে আঘাত করে। ঘর প্রতি ৫০ টাকা করে দেওয়া হত। সম্প্রতি ১৫০০ টাকা করে দাবি করেন অশোক দাস। এমনকী খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন তিনি। এই নিয়ে বচসার জেরেই বাড়িওয়ালা আক্রমণ করেন। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে কাঁচির কোপে মৃত্যু হয় মনোজের।