আরজি করের 'জাস্টিস' চেয়ে কি মিছিলে সামিল হয়েছিলেন দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়? সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গেল। যে দুলাল দমদমের জোড়া খুনের মামলায় ১২ বছর জেলে ছিলেন। আদালতে তাঁর জামিনের আর্জি বিরোধিতা করে দুই যুবকের বিধবা স্ত্রী দাবি করেছিলেন যে দুলাল জেল থেকে মুক্তি পেলে তাঁদের প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। অভিযোগ ওঠে, একটা সময় এমনই দাপট ছিল যে তাঁকে পুলিশও ছুঁতে পারত না। জোড়া খুনের ঘটনায় যে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, সেটাও হয়েছিল তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে। সেই তিনিই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী) ধর্ষণ এবং খুনের ঘট༺নায় বিচার চেয়ে র🍨াস্তায় নেমেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতিবৃত্ত
১) ভরা বাম জমানায় দমদমের সিপিআইএম দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন দুলাল। তাঁর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ উঠেছিল। তোলাবাজি থেকে শুরু করে ট⛦্রেনে চোরাচালান, অবৈধ প্রোমোটারি - তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল বাম জমানায়।
২)൩ পুলিশের খাতায় অনেক অভিযোগ জমা পড়েছিল দুলালের বিরুদ্ধে। তবে শাসক দলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করত না ব🎉লে অভিযোগ উঠেছে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে গ্রেফতার
৩) ২০০২ সালের ৪ মার্চ দমদমের নেয়ারাবাগানের সঞ্জয় গোস্বামী এবং চন্দন চক্রবর্তীকে (বাপি) পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল দুলাল এবং তাঁর দুই শাগরেদের। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে দুলালকে গ্রেফতার করা হোক। তারপর ১১ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যিনি সেই💧সময় কাশীপুর-বেলগাছিয়া জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন।
৪) পরবর্তীতে দুলালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর দায়রা আদালত। তারপরই দুলালকে বহিষ্কার করে༺ দিয়েছিল সিপিআইএম।
৫) তারইমধ্যে ൲সেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন দুলাল। পরবর্তীতে তাঁর আর্জি খার🌄িজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট।
৬) পরবর্তীতে♔ তাঁর আর্জি মঞ্🌄জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৪ সালে মুক্তি পান দুলাল
৭)💖 ২০১৪ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান দুলাল। ১২ বছরের বেশি সময় জেলে কাটিয়ে মুক্তি পান প্রাক্তন সিপিআইএম নেতা।
৮) যদিও ꧅দুলালের আর্জির বিরোধিতা করেছিলেন দুই মৃত যুবকের স্ত্রী নলিনী খাঁড়া এবং সন্ধ্যা ঘোষ। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে দুলাল মুক্তি পেলে তাঁদের প্রাণের সংশয় হতে পারে।