আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মহানগরের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা তো বটেই নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলগুলিও প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ মিছিল চালাচ্ছে শহরের রাস্তায়। তবে বিচারের দাবিতে এই আন্দোলন হলেও তাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফুটপাতের হকারদের ব্যবসা। সামনেই পুজো। কিন্তু, ෴বিক্ষোভ মিছিলের কারণে সেভাবে বেচাকেনা হচ্ছে না। তাই ব্যবসায় ক্ষতির প্রতিবাদে এবার পথে নামছেন হকাররা। লাগাতার আন্দোলন মিছিল বন্ধ, ন্যায়বিচার এবং জীবিকা রক্ষার দা🐎বিতে হকাররা পালটা সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুন: 'শুভবুদ্ধির উদয় হোক', জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডাকল নবান্ন, ‘দুর্ভাগ্যজনকꦦভাবে…..’
জানা গিয়েছে, গড়িয়াহাট, বেহালার হকার সংগঠনগুলি আগামী সপ্তাহের শুরুতে সমাবেশ করতে পরে। তাতে যোগ দেবেন হাতিবাগান এবং নিউমার্কেটের হকাররা। গড়িয়াহাটের একটি হকার ইউনিয়নের এক নেতা জানান, পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য রাস্তায় নামা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। তিনি জানান, দুর্গা পুজোর আগে ব্যবসায় মন্দার কারণে বেশিরভাগ হকাররা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। কারণ আন্দোলনকারীদের জন্য রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ায় ব্যবসা ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে। বিশেষ করে সপ্তাহের🌄 শেষ দিকে যেদিন ব্যবসা ভালো হয়ে থাকে সেই দিন গুলিতে আন্দোলনকারীদের ভিড় বাড়ছে।যদিও হকাররা জানিয়েছেন, তাঁরা ধর্ষণ ও খুনের বিচারও চান। কিন্তু বিক্ষোভের কারণে তাঁদের জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। পুজোর বাজার থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সেভাবে বেচাকেনা হচ্ছে না।
এক হকার নেতা জানান, জামাকাপড় বিক্রির হকাররা জুলাই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করেছেন। মূলত এই বিনিয়োগ পুজোকে ঘিরেই। কিন্তু, প্রতিদিন এভাবে বিক্ষোভ মিছিল চললে তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। টাউন ভেন্ডিং কমিটির এক সদস্য বলেছেন, বেহালা হকাররাও একই দাব🌊ি নিয়ে সোমবার সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে। হাতিবাগান এবং নিউ মার্কেটের হকরারাও এখনও পুজোর কেনাকাটার ৪০ শতাংশ ছুঁতে পারেনি। শ্যামবাজার-হাতিবাগান হকার্স ইউনিয়নের এক সদস্য জানান, মূলত শ্যামবাজারের নিকটবর্তী এলাকায় বেশি বিক্ষোভ হওয়ার কারণে হাতিবাগানের হকার ও ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত 🍸হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছেন। যাতে তারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে না যান। নিউ মার্কেট এলাকায় হকাররাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ হকার্স জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সভাপতি অসিত সাহা বলেন, ‘ পুজোর মরসুমে পরিস্থিতির সমাধান করা দরকার।’