পুজোর আর বেশি বাকি 𝄹নেই। ক্লাবগুলিতে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। কিন্তু, সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্নচাপ। তার জেরে টানা কদিনের বৃষ্টিতে মণ্ডপ তৈরির কাজ থমকে রয়েছে। যার ফলে কার্যত মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তাদের। জল জমে গিয়েছে বহু মণ্ডপে। তারওপর আবার ইনেস্কোর প্রতিনিধিদের আসার কথা রয়েছে। কিন্তু, এখনও অনেক মণ্ডপে আলোর কাজও করা সম্ভব হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির জলের মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কেউ মণ্ডপ থেকে জল আবার কেউ কাদা পরিষ্কার করতেই 🎉ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী▨তে কি প্রবল বৃষ্টি হবে?♒ পুজোয় প্যাচপ্যাচে গরমও থাকবে?
ঘোষণা অনু🐽যায়ী আগামী ১১ থেকে ১৪ অক্টোবর শহরের ২৬ টি পুজো দেখবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেক্ষেত্রে পুজো যোগদানের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। তারাও মণ্ডপের কাজ করতে পারছেন না। এদিকে, ১০ তারিখের মধ্যে তাদের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এই অবস্থায় কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে? তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। জানা গিয়েছে, ১১ তারিখ থেকে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা🔯 মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে পুজোর তদারকি করবেন।
যে সমস্ত পুজো মণ্ডপগুলিতে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখবেন তার মধ্যে একটি মণ্ডপের পুজোর উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, চিন্তায় তাদের ঘুম হচ্ছে না। বৃষ্টি থামার নাম নিচ্ছে না। যার ফলে কাজ হচ্ছে না। এবার যেন বৃষ্টির জন্য মাথা হেঁট না হয়ে যায় সে আশঙ্🦄কা করেছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। আরেকটি পুজো কমিটির বক্তব্য, তারা সকালে যে কাজ করছেন তা বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে। আলোর কাজ করা যাচ্ছে না। করোনাকে হারানো গেলেও বৃষ্টির সঙ্গে কিছুতেই পেরে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।
পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশের বক্তব্য, বৃষ্টিতে মণ্ডপ ঢেকে রাখা হচ্ছে কিন্তু শ্রমিকদের বাঁশে উঠে কাজ করানো যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে কেউ পড়ে গেলে বিপদ হতে পারে। আবার বৃষ্টির মধ্যে অনেক শ্রমিকই কাজ করতে চাইছেন না। কারণ পুজোর কাজে যুক্ত শ্রমিকদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বহু জায়গায় আলোকসজ্জার কাজ তো দূরের কথা মাঠের জল নামানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে যে করে হোক আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে বলেই জানিয়েছেন পুজো উদ্যোগক্তারা। তাদের বক্তব্য, ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা আসবেন। তাই যে করেই হোক কাজ শেষ করতে হবে। যদিও এ বিষয়ে চেতলা অগ্রণী পুজো কমিটির তরফে সমীর ঘোষ জানান, এত🐲 কম সময়ে কোনওভাবে দ্রুত কাজ করা সম্ভব নয়। সেরকম হলে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা নির্মীয়মাণ মণ্ডপ ঘুরে দেখবেন।