রাখি বন্ধনের দিন সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে হয়ে গেল দেবী দুর্গার আবাহন। রবিবার রাখি বন্ধনের সঙ্গে সঙ্💟গে খুঁটি পুজো হয়ে গেল পাতিপুকুর সর💞কারি আবাসনে। করোনা আবহে পুজো আয়োজনের কোনও খামতি ছিল না আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে। সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত এই পুজোয় করোনা মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার বার্তাই দিতে চান পুজো উদ্যোক্তারা।
দেখতে দেখতে এবারে ৫৫ বছরে পা দিল পাতিপুকুর সরকারি আবাসনের এই পুজো। এবার রাখি বন্ধনের দিন হয়ে গেল আ🍰বাসনের খুঁটি পুজো। সকালে আবাসনের বাসিন্দারা একে অপরকে রাখি পরিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দেন। এরপর আবাসনের পুজো কম🔯িটির তরফ থেকে রক্তদানের আয়োজন করা হয়। এদিন পুজো কমিটির তরফে ৪১ জন রক্তদান করেন। এদিকে যেমন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়, তেমনি অন্য দিকে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সহকারে এদিন পুজো কমিটির তরফে খুঁটি পুজোর আয়েজন করা হয়। আবাসনের তরুণ, তরুণী ও মহিলারা পুজোর আয়োজনে হাত লাগান। খুঁটি পুজোর মাধ্যমে দুর্গাপুজোর যাবতীয় প্রস্তুতির আয়োজন শুরু হয়ে গেল। এদিন আবাসনের তরুণ, তরুণীরা গান, নৃত্য-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। তবে এদিন রক্তদান উপলক্ষে পুজো কমিটির তরফে বিশেষ আয়োজন করা হয়। যারা রক্তদান করেছেন, তাঁদের একটি চারাগাছ দেওয়া হয়। তবে এদিন সকলের নজর ছিল খুঁটি পুজোর দিকেই। এদিন আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে খুঁটি পুজোয় যোগদান করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু।
এদিন পুজ﷽ো কমিটির সঙ্গে যুক্ত রাজা সরকার জানান, ‘করোনা যেভাবে মানুষের দিন ওষ্ঠাগত করে তুলেছে, সেই করোনা পরিস্থিতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। করোনার এই আবহ থেকে নিজেদের মুক্ত করার বার্তাই তুলে ধরতে চাই আমরা। গত বছরও আমরা এই বার্তাই তুলে ধরেছিলাম। এবারের পুজোতেও আমাদের একই ধরনের থিম থাকবে। এবারে হিন্দু ও বৌদ্ধ সং𓆉স্কৃতিকে তুলে ধরতে চাই আমরা।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমাদের এই পুজো মহিলারা মিলেই করে। এই পুজো কমিটিতে কোনও পুরুষ সদস্য নেই। তবে পুরোহিতের বিষয়টি আলাদা। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে পুরনো রীতি নীতি মেনে সাবেকি প্রথায় পুজো হয়ে আসছে, তাই পুরোহিত একজন পুরুষই থাকবেন।’