অন্যরা জেল থেকে মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন। জামিনে খোলা আকাশের নীচে আসতে পেরেছেন। একদা তাঁরা সহকর্মী ছিলেন। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে জামিন পাওয়ায় এখন তাঁরা উৎসবে ফিরেছেন। অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্য, সায়গল হোসেন, বিজয়কৃষ্ণ সাহা থেকে তাপস মণ্ডল এখন জেলের বাইরে। জেলের ভিতরে শুধু পড়ে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জামিন পাওয়ার জন্য বহু চেষ্টা ক꧅রলেও তা মেলেনি। এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি হলেও রায় স্থগিত রয়েছে। আর প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বেরনো হল না। দুর্গাপুজো কাটবে জেলেই। তাই জেলের দুর্গাপ্রতিমায় মাথা ঠেকিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লে♓ন পার্থ বলে সূত্রের খবর।
এই কান্নার বিষয়টি স্পষ্ট। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভেবেছিলেন এবার জামিনের শুনানিতে সাড়া মিলবে। তাহলে দুর্গাপুজোয় নিজের বাড়ি ফিরতে পারবেন। সেই আশা পূরণ না হওয়ায় মাতৃপ্রতিমায় চোখের জল ফেললেন পার্থ। আসলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে এক কারারক্ষী সূত্রে খবর। তবে এমন আচরণ করতে দেখা যায়নি জ্যোতিপ্রিয়♉ মল্লিককে। তিনি শরীর খারাপ নিয়েও জেলের মধ্যেই উৎসব পালন করতে ব্যস্ত। জেলের দুর্গাপুজো যাতে ভাল করে সম্পন্ন হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন বালু। খাবার যেন কম না পড়ে সেটাও দেখছেন তিনি। মহাষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেবেন সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় কারারক্ষীকে।
আরও পড়ুন: সকালের আনন্দ বেলা গড়াতেই বিষাদে পরিণত হয়, হরিয়ানার ফল কংগ্রেসকে ধাক্কা দিল
এখানেই শেষ নয়, এবার আর নিজের সেলে বসে খাবার খাবেন না জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বরং বন্দিদের সঙ্গে বসেই তিনি দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে খাবার খাবেন বলে প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একেবারে বিপরীত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই কান্নায় ভেঙে পড়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে এক কারারক্ষীকে বলেছেন, ‘আমার মন মেজাজ ভাল নেই। জেলের দুর্গাপুজো দেখতে যাব না। বই পড়ে সময় কাটাব। পারলে কয়েকটা শারদীয়া দিয়ে যেও। জানি না ভাগ্⛄যে আর কতদিন এমন দুঃখ লেখা রয়েছে।’ এই কথা আবার কারারক্ষী জানিয়েছেন জেলারকে বলে সূত্রের খবর।